মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার ফরমায়েশি সাজা মাথায় নিয়ে কারাবন্দি দৈনিক আমার দেশ'র মজলুম সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দৈনিক আমার দেশ পরিবার ও আমার দেশ পাঠক ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে মনিচত্বরে এসে শেষ হয়। এর আগে সাহেব বাজারে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও দৈনিক আমার দেশ'র রাজশাহী ব্যুরো স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ও রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের আহবায়ক শ ম সাজু, আরইউজে'র কোষাধ্যক্ষ তৌফিক ইমাম পান্না, দৈনিক আামার দেশ'র ফোটো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ সভাপতি মাসুদ রানা রাব্বানী, সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা জামান, আমার দেশ পাঠক ফোরামের সভাপতি আবু হানিফ।
বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও চক্রান্ত ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আধিপত্যবাদী ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এ মাটি থেকে ভারতীয় আগ্রাসনের শেকড় উপড়াতে ও লুটেরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মাদের কবর রচনা করতে সাহসী কলমযোদ্ধা মাহমুদুর রহমানকে কারামুক্ত করার এবং আমার দেশ চালু করে জনগণের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিগত সরকার একইভাবে বানোয়াট মামলা দিয়ে সাজাও দিয়েছিল। তার সব মামলা প্রত্যাহার ও সাজা বাতিল করা হয়েছে। তাহলে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, যায়যায়দিন সম্পাদনা শফিক রেহমানসহ আর যাদের বিরুদ্ধে এমন মামলা ও সাজা আছে সেগুলো কেন প্রত্যাহার হবে না।
বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জনগণের আন্দোলন ও রক্তদানের ফসল দাবি করে বক্তারা বলেন, পাবলিক সেন্টিমেন্ট বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হঠকারী যে কোনো কাজ জাতির মধ্যে অনৈক্য আনবে ও বিভেদ তৈরি করবে।
সমাবেশ থেকে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১১৪ মামলা প্রত্যাহার এবং পতিত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার কল্পিত বানোয়াট অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত বছরের আগস্টে ফরমায়েশি রায়ে ৭ বছরের সাজা হয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের। এ সাজা অবিলম্বে বাতিল, আমার দেশ চালুর সব প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং বন্ধ হওয়ার পর গত ১১ বছরের সব ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজাপ্রাপ্ত দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে আত্মসমর্পণ করতে আদালতে যান। এ সময় তার পক্ষে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুল হকের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।