সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় স্বামীকে হত্যার ১৪ বছর পর অভিযুক্ত স্ত্রীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের (১) বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বড় বাশুরিয়া গ্রামের নিহত আমিরুল ইসলাম ওরফে দুদুর স্ত্রী মরিয়ম খাতুন ওরফে টুলটুলি, বড় চানতারা গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে রেজাউল করিম ও ছোট মহারাজপুর গ্রামের মৃত নবীন সর্দারের ছেলে দেলবার সর্দার।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের স্টেনোগ্রাফার মাজিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার অন্তত ১৭-১৮ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ভিকটিম আমিরুল ইসলাম ওরফে দুদুর সঙ্গে মরিয়ম খাতুন ওরফে টুলটুলির বিয়ে হয়। টুলটুলির চেহারা সুন্দর এবং চরিত্র খারাপ হওয়ায় সে স্বামীকে রেখে আশপাশের গ্রামের লোকজনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করত। গ্রামবাসী তাতে নিষেধ করলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো। এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে টুলটুলি তার স্বামীকেও মারধর করত। এসব বিষয় নিয়ে ২০১০ সালের ৮ জুলাই রাতে নিজ বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরের দিনে সকালে বাড়ির পাশের একটি ক্ষেতের ভেতর থেকে আমিরুল ইসলাম ওরফে দুদুর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবু তালেব ওরফে তারা বাদী হয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।