'তালিবান মুখে যাই বলুক, তারাও পর্ন দেখে।' জোর গলায় একথা বলেছেন ইয়াসমিনা আলি , যিনি আফগানিস্তানের সবচেয়ে খ্যাতিমান, অনেকেরই মতে একমাত্র পর্ন তারকা। বিদেশ বিভুঁইয়ে বসে শিউরে উঠছেন এই মুহূর্তে তাঁর স্বদেশ কী অবস্থায় রয়েছে তা ভেবে।
গত শতাব্দীর নয়ের দশকে যখন প্রথমবার আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তালিবানরা, তখন ইয়াসমিনার বয়স খুবই অল্প। সেই বয়সেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন কীভাবে মেয়েদের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে তালিবানরা।
নতুন করে সেই দেশের দখল জেহাদিদের হাতে যাওয়ার পরেও একই ছবি দেখছেন তিনি। আর তা দেখেই মনখারাপ একমাত্র আফগান পর্ন তারকার। তাঁর 'শরীরের' অধিকার যে কেবল তাঁরই, সেকথাও জোরের সঙ্গে বলতে শোনা গিয়েছে ইয়াসমিনাকে। তাঁর কথায়, "ওরা ভাবে, আমার কত সাহস আমি নিজের শরীর দেখাই! আসলে ওরা মনে করে আমার শরীরটাও ওদের দখলে। এবং আমি আমার শরীর নিয়ে কী করব সেটাও ওরাই ঠিক করবে। আমার কোনও অধিকারই নেই তাতে। আর সেটা যদি ফলাতে যাই, তাহলে আর আমি আর আফগান থাকব না।"
সম্প্রতি 'আই হেট পর্ন' নামের এক পডকাস্টে এবিষয়ে কথা বলেন তিনি। সঞ্চালক টমি ম্য়াকডোনাল্ডকে তিনি বলেন, "ওরা (তালিবান ) আমার কনটেন্টগুলিকে ঘৃণা করে, কারণ ওরা চায় না পর্নের সঙ্গে আফগানিস্তানের নাম জড়িয়ে যাক। হ্যাঁ, আমি আফগান। তাতে কী? হয়তো তালিবানও আমাকে দেখে। আমি নিশ্চিত ওরা আমার কথা আগেই শুনেছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। "
রাজশাহীর সময় /এএইচ