২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১০:১৬:৩৮ পূর্বাহ্ন


মিঠাপুকুরে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়ে স্ত্রী লাপাত্তা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০১-২০২২
মিঠাপুকুরে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়ে স্ত্রী লাপাত্তা ভুক্তভোগী সোলাইমান মিয়া। ফাইল ফটো


রংপুরের মিঠাপুকুরে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে সোলাইমান মিয়া (২৪) নামে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়ে লাপাত্তা স্ত্রী। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার দমদমা বাজারের শিমুলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোলাইমান মিয়া ওই গ্রামের ফুলবাবু ওরফে ফুলু মিয়ার ছেলে। তিনি ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হেলপারের কাজ করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের সুবাদে মাগুরা জেলার এক নারীর সঙ্গে মোবাইল ফোন সম্পর্ক গড়ে উঠে সোলাইমানের। বয়সে বড় হওয়ার পরও প্রেমের টানে দুই বছর আগে ওই নারীকে বিয়ে করেন সোলাইমান। ছয়-সাত মাস আগে সোলাইমান স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুরের দমদমায় নিয়ে এসে সংসার শুরু করেন।

এক সময় দুজনের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। স্ত্রীর অভিযোগ তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। আর সোলাইমানের অভিযোগ স্ত্রীর বয়স বেশি হলেও তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো।

সোমবার রাতে খাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে স্ত্রী সোলাইমানের বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়ে যান। এলাকাবাসী তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে যায়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ বলেন, ওই নারী একটি চিঠি লিখে গেছে। সেখানে তার আগের সংসার নষ্টের জন্য বর্তমান স্বামী সোলাইমানকে দায়ী করেছেন। সোলাইমানের মোবাইলে একাধিক মেয়ের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, পরকীয়া সন্দেহে ও পারিবারিক কলহের জেরে এমনটা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। সোলাইমান অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্ত্রীকে আটকে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তবে কেটে ফেলা বিশেষ অঙ্গের অবশিষ্ট অংশটি পাওয়া যায়নি।

রাজশাহীর সময় /এএইচ