২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৪:৪০:২১ অপরাহ্ন


বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের
এম. শামীম, রাবি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৯-২০২৪
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অসাংবিধানিক বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো আব্দুল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অন্যায়। মানুষের মাঝে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে; যা খুবই উদ্বেগজনক এবং সেটি কাম্য নয়। এমতাবস্থায় অবিলম্বে তা রুখে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সংগঠনের নেতারা বলেন, রাজনীতি বন্ধ থাকলে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থান ঘটবে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ঘাপটি মেরে আছে। রাজনীতি বন্ধের সুবিধা নিয়ে আবারও তাদের পুনর্বাসন ঘটবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যুবক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনের নেতারা বলেন, ফজলুল হক হলে তোফাজ্জল নামে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে মানিব্যাগ ও মোবাইল চুরির অভিযোগে যেভাবে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তাতে হতভম্ব এবং বিস্মিত।

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই উল্লেখ করে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারা বলেন, কেউ অন্যায় করলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তি অন্যায় এবং অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে; কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আমরা অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা এবং কালক্ষেপণ না করে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের আলোচনা শুরুর আহ্বান জানাই।