চরম বিপদে পড়লে অনেকে দিশেহারা হয়ে যায়। এমনকি আল্লাহর কাছে নিজের মৃত্যু কামনা করতে থাকে। তাই চরম বিপদে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু কামনা না করে আল্লাহর কাছে প্রিয় নবির শেখানো ভাষায় দোয়া করা। যেভাবে বলেছেন বিশ্বনবি-
اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আহয়িনি মা কানাতিল হায়াতু খাইরানলি ওয়া তাওয়াফ্ফানি ইজা কানাতিল ওয়াফাতু খাইরানলি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন আমার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর, তখন আমাকে মৃত্যু দিন।’
হাদিসের পুরো বর্ণনাটি এমন-
হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন বিপদে পড়ে মৃত্যু কামনা না করে। বরং সে যেন বলে- ‘হে আল্লাহ! যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর, তখন আমাকে মৃত্যু দিন।’ (আবু দাউদ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, যে কোনো বিপদে পড়লেই মৃত্যু কামনা করা ঠিক নয়; বরং বিপদে ধৈর্যধারণ করাই শ্রেষ্ঠ আমলও কাজ। একান্ত অধৈর্য হয়ে পড়লে উল্লেখিত হাদিসের আলোকে নিজেদের জন্য কল্যাণের দোয়া করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে চরম বিপদে হাদিসের শেখানো ভাষায় দোয়া করার তাওফিক দান করুন। ইসলামের সুন্দর আদর্শ ধারণ করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় বিপদ থেকে হেফাজত করুন। আমিন। তথ্য সূত্র: অনলাইন।
রাজশাহীর সময় / এম আর