ভারতে প্রবেশ করার পর কেরল যাওয়ার পথে ৯ জন যুবককে আটক করেছে দেশটির আরপিএফ। পরে জিআরপি তাদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের সাবেক শাসক দল আওয়ামি লীগের কর্মী বলে তারা দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে, ওই যুবকদের নিউ কোচবিহার স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে আরপিএফ তাদের আটক করে। ধৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। আরপিএফের কাছে আটক হওয়া বাংলাদেশিরা মেঘালয়ের পাহাড়ি ও জঙ্গল এলাকা দিয়ে আসার পর মানিকাচর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীদের জানিয়েছে।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতরা প্রত্যেকেই, বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তারা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ধৃতদের নাম আবদুল করিম, শাহিন আলম, সাজিব মণ্ডল, জুয়েল মণ্ডল, মহম্মদ আলি, কামরুল ইসলাম, আব্বাস শেখ, সুমন হোসেন এবং রুকন মণ্ডল।
ধৃত বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে কামরুল ইসলাম জানিয়েছে, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর এক দালালের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেছেন। ভারতের কেরলের এগিয়ে সেখানে রাজমিস্ত্রি কাজ করার ইচ্ছে ছিল তাদের। তার জন্য বাংলাদেশের ভিতরে দেড়শো টাকার বিনিময়ে ভারতীয় আধার কার্ড তৈরি করেছিলেন সকলে।
কামরুলের দাবি, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তারা দীর্ঘ হাঁটা পথ এবং নদী পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন।
দালালের মাধ্যমে কীভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে বিভিন্ন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশী, তা রীতিমতো অবাক করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে। যেভাবে অতি সহজেই বাংলাদেশের ভিতরে আধার কার্ডের মতো ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরির যে চক্র রয়েছে, সেটাও মাথা ব্যথার কারণ তাদের। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।