১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:১২:৩৪ পূর্বাহ্ন


ফুলবাড়ীতে কমেছে কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ ও রসুনের দাম
কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৯-২০২৪
ফুলবাড়ীতে কমেছে কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ ও রসুনের দাম ফুলবাড়ীতে কমেছে কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ ও রসুনের দাম


এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। প্রতিকেজি মরিচের দাম ১০০ টাকা কমে ১২০ টাকায়, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কমে ৯৫ টাকায় এবং রসুন ২০ টাকা কমে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ একসপ্তাহ আগেই প্রতিকেজি মরিচ ২২০ টাকা, পেঁয়াজ ১৩০ টাকা এবং রসুন ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এদিকে নিত্যপণ্যের দাম কমে আসায় সস্তি ফিরছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তবে ক্রেতাদের বরাবর একই অভিযোগ আমদানি থাকা সত্ত্বেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের লুঠ করছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ফুলবাড়ী পৌর সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। অথচ একই কাঁচামরিচ গত এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ১৩০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে এবং  ২২০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।

খুচরা বাজারে খরচ করতে আসা সাইমুন নেছা ও রাব্বি হাসান বলেন, কিছুদিন আগে মরিচের যে দাম ছিল, সে তুলনায় এখন দাম অনেক কমে এসেছে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙলেই ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারবে। এ জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হলেই কেউ আর সাহস পাবে না অসৎ উপায়ে ব্যবসা করার।

বাজার করতে আসা হোটেল ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র সাহা ও আনোয়ার হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় কম নিয়ে কোনো মতে ব্যবসা চালাতে হয়েছে। এখন দাম কমায় চাহিদানুযায়ী পণ্য নিয়ে হোটেলের তরিতরকারিতে দেওয়া সম্ভব হবে।

খুচরা সবজি ব্যবসায়ি হারুন উর রশীদ বলেন, পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও রসুনের আমদানি হওয়ায় দাম কমে এসেছে।

পাইকারি সবজি ব্যবসায়ি আজয় দত্ত বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এবং অন্য এলাকার থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও রসুনের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম কমে এসেছে। তবে আমদানি এ অবস্থায় থাকলে দাম আরো কমে আসবে।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ অযাচিতভাবে কোনো পণ্যের দাম বাড়ালে এবং তা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।