২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:০১:২৪ অপরাহ্ন


পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক গ্রেফতার
মাসুদ রানা রাব্বানী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৯-২০২৪
পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক গ্রেফতার পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক গ্রেফতার


রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার কনস্টেবল/২১৬ মোঃ আজিমকে বদলির ভয় দেখিয়ে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় মোঃ আলামিন সরকার (৩৯)-কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

অভিযুক্ত প্রতারক মোঃ আলামিন সরকার দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার পলিপ্রয়াগপুর ভেটাই গ্রামের মোঃ আপেল মাহমুদ সরকারের ছেলে।

মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিসএবি), মোঃ রফিকুল আলম। 

তিনি জানান, প্রতারক মোঃ আলামিন সরকার গত ২৭ আগস্ট দুপুর ১২:১০ মিনিটে নিজেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট শাখার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ হাবিবুর রহমান পরিচয় দিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি নম্বরে (০১৩২০-১২২৫৯৯) ফোন দিয়ে কৌশলে থানার কর্মকর্তাদের নাম, বিপি নম্বর ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর থানার কর্মকর্তাদের জানায়, তাদের এপিবিএন-এ বদলি করা হয়েছে। যদি কেউ বদলির  আদেশ বাতিল করতে চান তাহলে ০১৭১১-৪১৮৮৯৬ নম্বরে টাকা প্রেরণ করেন। ঠিক একইভাবে গোদাগাড়ী মডেল থানার কনস্টেবল মোঃ আজিমের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করলে আজিম প্রতারকের নিকট ১০ হাজার টাকা পাঠায়। প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারলে কনস্টেবল আজিম থানার অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করেন। ঘটনাটি রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নজরে আসে। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো: আনিসুজ্জামানের নির্দেশে রাজশাহী জেলার ডিবি পুলিশের একটি ল আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক মোঃ আলামিন সরকারের (৩৯) অবস্থান নির্ণয় করে। অবশেষে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর জেলা পুলিশের সহায়তায় প্রতারক মোঃ আলামিন সরকার-কে দিনাজপুরের বিরামপুর থানার পলিপ্রয়াগপুর ভেটাই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

প্রতারক আলামিন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, গোদাগাড়ী মডেল থানার কনস্টেবল মোঃ আজিমের নিকট হতে প্রতারণা করে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে।  এছাড়াও তার বিভিন্ন ধরনের প্রতারণাসহ নানা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। 

এ ব্যপারে তার বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির ভয় দেখিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি সে স্বীকার করেছে। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারি ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৬টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।