নোয়াখালীতে বন্যায় পানি বন্দি হয়ে জীবন যাপন করছে ২১ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে জীবনকে সচল রাখতে অনেকে বিকল্প পথ হাঁটছেন। তেমনই এক যুবক নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজুরগাঁও গ্রামের মো.ইয়াছিন।
স্থানীয়রা জানায়, ইয়াছিন মহিষ দুলালীকে বাহন বানিয়ে বন্যার পানিকে মাড়িয়ে করছেন নানা কাজ। মহিষের পিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক জমি থেকে অন্য জমি। কখনো মহিষের সাথে জলের খেলা খেলছে, কখনো মহিষের পিঠে চড়ে নেমে যাচ্ছে খালের পানিতে।
মো.ইয়াছিন বলেন, গত ৪০ বছর উপজেলার রাজুরগাঁও গ্রামে মহিষ পালন করে আসছে ইয়াছিনের পরিবার। তার বাবা আব্দুল মজিদের পর মহিষ পালনের হাল ধরেন ছেলে ইয়াছিন। তাদের মহিষের পালে রয়েছে ৬০টি মহিষ। স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভেসে যায় ১৭টি মহিষ, চুরি হয়ে যায় ৩টি মহিষ। বাকী ৪০টি মহিষ পরিচর্যা করতে মহিষ দুলালীই তার এক মাত্র ভরসা। দুলালী গরম সহ্য করেনা, তাই প্রায় কাদা মাঠি ও পানিতে গড়াগড়ি করে। তবে মালিকের সাথে তার বেজায় ভাব। গ্রামবাসীর কেউ কেউ তার এসব কাণ্ড দেখে অবাক হয়। তারা ভীষণ আলোড়িত হয় এই দৃশ্য দেখতে ভীড় জমায়।
স্থানীয় শিক্ষক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, কবিরহাট অঞ্চলে কালের বিবর্তনে কমে গেছে মহিষ পালন। আগের মত এখন আর চোখে পড়ে না মহিষের পাল। কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, বাথান জমি কমে যাওয়া, সবুজ ঘাসের অভাব এবং চোর সিন্ডিগেটের কারণে বিলুপ্তির পথে মহিষ পালন। গবাধি পশু লালন পালনে মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠুক আগের মত সচেতন মহলের প্রত্যাশা এমনটাই।