ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামাসের মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) একজন কমান্ডারসহ চার জন যোদ্ধা। নিহত ওই কমান্ডারের নাম মুহম্মদ জব্বার ওরফে আবু সুজা।
গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের তুলকার্ম শহরে নূর শামস শরণার্থী শিবির সংলগ্ন এলাকায় একটি মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার ভোরের দিকে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং সাঁজোয়া যানে সজ্জিত হয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর কয়েক শ’ সেনা পশ্চিম তীরের দুই শহর তুলকার্ম, জেনিন এবং আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু করে। প্রায় ২৪ ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানের শেষের দিকে তুলকার্মে নিহত হন মুহম্মদ জব্বার এবং তার সঙ্গী যোদ্ধারাসহ মোট ১৭ জন নিহত হন।
প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের তুলকার্ম শাখাও পৃথক এক বিবৃতিতে নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে যে হামলা হয়েছিল, সেখানে হামাসের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারাও। পিআইজেতে ফিলিস্তিনি শিয়া মুসলিমদের আধিক্য বেশি। গোষ্ঠীটিকে আর্থিক এবং সমরাস্ত্র সহায়তা দেয় ইরান।
প্রসঙ্গত, বুধবার তুর্কলাম ও জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। পশ্চিম তীরে বড় আকারের অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলকে আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে তার জবাবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত ড্যানি ড্যানন বলেছিলেন, “আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার; আর তা হলো ইসরায়েলের বেসামরিক লোকজনকে ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করা।”
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় একই সময় পশ্চিম তীর এলাকাতেও অভিযান শুরু হয়, তবে পশ্চিম তীরে অভিযানের মাত্রা গাজার মতো তীব্র নয়।
ইসরায়েলি বাহিনীর গত ১১ মাসের অভিযানে গাজায় ৪০ হাজার ৫ শতাধিক এবং পশ্চিম তীরে হয়েছেন ৬৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক। সূত্র : রয়টার্স