২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:৩৮:১৩ পূর্বাহ্ন


রাবিতে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক পরিষদের বিক্ষোভ
রাবি প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৮-২০২৪
রাবিতে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক পরিষদের বিক্ষোভ রাবিতে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক পরিষদের বিক্ষোভ


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে যৌন নিপীড়ক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদ। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীরাও এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে জোহা চত্বরের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন তারা। পরে বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন তারা। বিক্ষোভ মিছিলে যৌন নিপীড়ক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, শিক্ষকরূপে রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ে যারা আমাদের বাবার মতো এবং যারা জাতির বিবেক তারা যদি তাদের কন্যার বয়সী আমাদের বোনদের সঙ্গে এমন আচরণ করেন তাহলে রাবি একটা সভ্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। আজকে যেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে তাদের প্রত্যেকের পেছনে দলীয় সিন্ডিকেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য জায়গায় একেকটা ক্ষমতার চেয়ার রয়েছে। যার কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে বারবার যৌন নীপিড়ন এবং অ্যাকাডেমিক স্বৈরাচার চালিয়ে যাওয়ার পরও তারা রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই ৫৩ বছর ধরে চলা শিক্ষকদের এই লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষকদের প্রধান কাজ হবে শিক্ষকতা, গবেষণা এবং অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া।

জানতে চাইলে রাবি সমন্বয়কদের পৃষ্ঠপোষক ও মানবাধিকার কর্মী রাশেদ রাজন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ক ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের আজকের এ বিক্ষোভ কর্মসূচি। ছাত্র সমাজ যদি স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে পারে আর সেখানে যৌন নিপীড়ক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমাদের কতটুকু সময় লাগবে? যদি শিক্ষার্থীরা ঐকবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকে তাহলে তাদেরকে দ্রুত সময়ে মধ্যে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব।