নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নৌকার অভাবে এই তিন জেলার বন্যাকবলিত দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো দুরূহ হয়ে পড়েছে। খাবার ও সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছেন লাখো বানভাসি। শুকনা খাবার খেয়ে-না-খেয়ে দিন কাটছে তাদের। অন্য ৮টি জেলায় বন্যার উন্নতি অব্যাহত আছে। তবে সেখানেও বন্যাদুর্গতরা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য ত্রাণ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমাদের প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
নোয়াখালী: প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলে নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। খাদ্যসংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত তিন দিনে ৬৩ জনকে সাপে দংশন করেছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০৮ জন।
সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, ফেনীর মুহুরী নদীর উজানের পানি ঢোকায় সেনবাগ, বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলায় গত দুই দিন বৃষ্টি না হলেও উজানের পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়। অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ও সড়ক তলিয়ে গেছে। স্কুলে পানি ঢুকে পড়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
কবিরহাটের বাসিন্দা মো. সফি উল্যাহ বলেন, কবিরহাটের সব রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এদিকে দিনমজুরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার ৮টি উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি। প্রতিটি বাড়িতে ৩ থেকে ৫ ফুট পানি। নিচু এলাকাগুলোতে ৬ থেকে ৭ ফুট পানি। বসতঘরে পানি ঢোকায় বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এলাকার সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে খাদ্যসংকটে রয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। জেলার প্রধান সড়কসহ প্রায় ৮০ ভাগ সড়ক কয়েক ফুট পানির নিচে রয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে সোমবার ভোরে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ২৩ ভেন্ট রেগুলেটরটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। এতে সাগর থেকে জোয়ারের পানি ঢোকার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিশেষ করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহার এবং ফেনীর সোনাগাজী ও দাগনভূঁঞা উপজেলার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, রেগুলেটরের আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং টিমকে রেগুলেটর এলাকায় নিয়োজিত করা হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে ১ লাখ ৮২ হাজার ৩০৯ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪৫ লাখ টাকা, ৮৮২ টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর: বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ ইঞ্চি পানি বেড়েছে। বর্তমানে জেলার ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি পানির নিচে রয়েছে। নোয়াখালী ও ফেনী থেকে ধেয়ে আসা পানি ও বৃষ্টির পানি বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণ বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া জানান, জেলার ২৪৫টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ২৩ হাজার ৪০৪টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলার অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।
এ এলাকায় ত্রাণের অপ্রতুলতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ত্রাণ বিতরণকারীদের আমরা সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকায় যাওয়ার অনুরোধ করছি। কিন্তু দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেকেই যেতে আগ্রহী না।’ এদিকে এ জেলায় মুড়ি, বিস্কুটসহ শুকনা খাবারের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুমিল্লা: জেলার ১৪টি উপজেলার সব কটিই বন্যায় আক্রান্ত। কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন এলাকার মানুষ দলে দলে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। তবে দুর্গম এলাকার অনেক মানুষ নিজেদের বাড়িঘরে রয়ে গেছেন। বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল ফোনসংযোগ বিচ্ছিন্ন। এসব কারণে তাদের খোঁজ নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ছোট ছোট নৌযান নিয়ে এসব এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অন্তত ৫০০টি গ্রাম। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। ডুবছে দেবিদ্বারও। লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, তিতাস উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। বাড়ছে প্রাণহানি, জলের তোড়ে ভেসে গেছে বাড়িঘর। নষ্ট হয়েছে ফসল। ভেসে গেছে খামারের মাছ।
এক সপ্তাহ আগে যাদের সব ছিল, এখন তারা নিঃস্ব। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু এলাকায়, আত্মীয়স্বজনের বাড়ি কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দুই শিশুসহ চারজন।
এদিকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায়। তবে নৌকা ও স্পিডবোট না থাকায় সেসব ত্রাণ সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে।
বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেড়িবাঁধের ওপর মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেক বন্যাদুর্গত মানুষ। ত্রাণের খাবারই এখন তাদের ভরসা। চার দিন ধরে কেউ কেউ এক কাপড়েই আছেন। খোলা স্থানে রাখা অবশিষ্ট কিছু আসবাবপত্র বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
বাঁধে আশ্রয় নেওয়া গৃহিণী নয়ন মনি বলেন, ‘বাঁধ ভাঙার পর কিছু নিয়ে আসতে পারিনি। শুধু সন্তান-শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে বাঁধে উঠছি। সব শেষ! এক সপ্তাহ আগেও সব ছিল।’
এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে বাঁধের ভাঙন তত তীব্র হচ্ছে। প্রচণ্ড গতিতে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। একতলা সমান তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন দোতলায়, কিংবা চালের ওপর। বুড়িচং উপজেলার দুর্গত এলাকাগুলো থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মোবাইল ফোনে খবর আসছে, পানিবন্দি মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধসংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আটকে পড়া বানভাসিদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন অনেকে।
বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বন্যাকবলিত বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান, রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ছুটে আসছেন বন্যাকবলিত মানুষকে সাহায্য করতে। কিন্তু নৌকা বা স্পিডবোট না থাকায় এসব ত্রাণ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানো যাচ্ছে না।
বন্যায় দিশেহারা জেলার চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, বরুড়া, মনোহরগঞ্জ, লালমাই ও সদর দক্ষিণ উপজেলার মানুষও। এর মধ্যে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোটের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে লাখো মানুষের। এ ছাড়া মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম এলাকায়ও বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, জেলার ১৭ উপজেলায় সরকারিভাবে ৬০০ টন চাল এবং ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নৌযানের অভাবে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছাতে সমস্যা হয়েছিল, এখন বিভিন্নভাবে নৌযানের ব্যবস্থা হচ্ছে। এখন সবাই ত্রাণ পাচ্ছে।
‘পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি নৌযান নিয়ে কাজ করছে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ সরকারি সব বিভাগ। পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে কিন্তু অনেক দুর্গত এলাকায় এসব সামগ্রী পৌঁছে দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। বন্যাদুর্গত মানুষকে সহযোগিতা করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বন্যা-পরবর্তী সময়ের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্গত এলাকাগুলোতে ডাকাত আতঙ্কের বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, দুর্গত এলাকায় ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন কাজ করবে, তেমনি সাধারণ মানুষকেও একত্র হয়ে তা প্রতিহত করতে হবে। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে।
ফেনী: ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদরে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও পানিবন্দি রয়েছেন ফেনী শহরের বিভিন্ন অলিগলি ছাগলনাইয়া উপজেলার আংশিক এলাকা, সোনাগাজী ও দাগনভূঁঞা উপজেলার লাখো বাসিন্দা। এ জেলায় বানভাসি সাড়ে প্রায় ৮ লাখ। উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী টিম কাজ করছে।
জেলা শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ চালু হয়েছে। এতে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক জটিলতা কাটছে। পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। এতে কিছু এলাকার মানুষের উদ্বেগ কমছে। তবে জেলাজুড়ে বেড়েছে পানিবাহিত রোগ। শিশুখাদ্য ও ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে।
‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ৫৭ লাখ’
চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৭ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরতে সোমবার মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান।
বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। বর্তমানে ফেনী ও কুমিল্লা জেলার নিচু অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে।
সচিব জানান, মোট ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪ জন। মোট ৩ হাজার ৮৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এগুলোতে মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জন মানুষ এবং ২৮ হাজার ৯০৭টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবায় মোট ৬৪৫টি মেডিকেল টিম রয়েছে।
কামরুল হাসান আরও বলেন, এ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৬ জন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে পাঁচজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজারে দুই জন নিখোঁজ রয়েছেন।