রাজশাহীর পুঠিয়া ইসলামীয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে রোববার সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভ করে ছাত্রীরা।
কলেজ অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন আলীর দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ করে তারা। এসময় ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রীরা।
ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে কোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০১৪ সালে কলেজের তালা ভেঙ্গে অফিস দখল করে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিজের নিয়োগ নেন শাহাবুদ্দিন আলী। উপাধ্যক্ষকে অবৈধভাবে ৭ বছর বহিষ্কার করে রাখা হয়। উপাধ্যক্ষকে বহিস্কার করা অবৈধ, তা কোর্ট দ্বারা প্রমানিত হয়েছে এবং মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে আবার তার বেতন চালু করা। প্রভাষক কামাল হোসেনকে ভুয়া পদত্যাগ দেখিয়ে ওই পদে মোজাফফর আলী নামের একজনকে নিয়োগ দেয়া হয় যা হাইকোর্ট দ্বারা প্রমাণিত। কামালের মামলায় তিনি এখন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। এছাড়া প্রভাষক হেদায়েতকে প্রায় দশ বছর অবৈধভাবে বেতন বন্ধ রাখেন তিনি।
এদিকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছেন অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন। নিজের মদদ পুষ্ট শিক্ষকদের দিয়ে বিভিন্ন অভ্যন্তরিন কমিটি করে কলেজের ফান্ড থেকে টাকা আত্মসাত করার অভিযোগও করেন ছাত্রীরা। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুঠিয়া এলাকার ছাত্ররাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে দমনে কলেজ অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন তার সহযোগীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত করে তারাও তার পদত্যাগ ও শাস্তি দাবি করেন।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল লতিফ জানান, রোববার কলেজে কোনো ক্লাস হয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রীরা কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
জানা গেছে অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন রোববার কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন। তাকে ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ওই কলেজ অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম করায় তার পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চাইলে তার পদত্যাগ হবে আইনি প্রক্রিয়ায়।