২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০১:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লিটনসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২৪
রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লিটনসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লিটনসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা


রাজশাহীতে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক মেয়র লিটনসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম সবুজ (২৫), তিনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই মামলার আসামী 

আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার-সহ ৪২জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়েছে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে নিহত সবুজের বাবা মাইনুল হক বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে-রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির উল্লেখযোগ্য।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সবুজ নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা মাইনুল হক এ মামলার বাদী। তবে আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে।

এর আগে গত ৫আগস্ট রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন সাকিব আনজুম।

এর আগে একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গত ৮আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নগর সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হানের (২৮)। 

এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট দিনগত রাত ১২টার দিকে বোয়ালিয়া থানায় প্রথম হত্যা মামলা হয়। নিহতের ছোট ভাই রানা ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলার এজাহারে ডাবলু সরকার-সহ ৫০জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০জন নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।