১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:২৬:১৯ অপরাহ্ন


টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৮-২০২৪
টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ছবি: সংগৃহীত


রাঙ্গামাটিতে টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে ২০টি স্পটে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড়ধসে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। পরবর্তীতে সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল সচল করে।

তবে মহালছড়ি এলাকায় সড়কের ওপর পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি আন্তঃজেলা যান চলাচল। জেলার কাউখালী উপজেলার ইছামতি খাল ও কাউখালী খালে পানি বেড়ে ডুবে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর।

এদিকে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বেড়াতে আসা আড়াইশো পর্যটক সাজেক ত্যাগ করতে পারেননি। কাচালং নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি-সাজেকের একাধিক স্থানে সড়ক ডুবে যাওয়ায় পর্যটকরা গতকাল থেকে আটকা পড়েছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আপাতত সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকদের বিকল্প উপায়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজও তাদের সাজেকে অবস্থান করতে হবে। উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হলেও রাতের বৃষ্টিতে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন জানান, জেলায় ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বাঘাইছড়িতে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রায় দুই হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি সদরে পাহাড়ধসে ঝুঁকিতে আছে ১৩৬৬ মানুষ। প্রাণহানি এড়াতে ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।