২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০১:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন


সাবেক মেয়রসহ রাসিকে কর্মরত কোন ব্যক্তির দুর্নীতির প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে: রাসিক প্রশাসক
মঈন উদ্দিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৮-২০২৪
সাবেক মেয়রসহ রাসিকে কর্মরত কোন ব্যক্তির দুর্নীতির প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে: রাসিক প্রশাসক সাবেক মেয়রসহ রাসিকে কর্মরত কোন ব্যক্তির দুর্নীতির প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে: রাসিক প্রশাসক


রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সাবেক মেয়রসহ রাসিকের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর দুর্নীতির প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধে অনুযায়ী আইনগহ ব্যবস্থা নেয়া হবে।  এসময় তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে লুট হওয়া মালামাল রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করছি। যারা ফেরত দিবেন, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাবো। মালামাল ফেরত দিলে কাউকে কোন প্রশ্ন করা হবে না। তবে পরবর্তীতে কারো কাছে কোন সম্পত্তি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম বিষয় তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন সিটি প্রশাসক। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিটি করপোরেশন।

সংবাদ সম্মেলনে ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সম্ভাব্য পরিমাণ ও করণীয় প্রস্তাব রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের জনবল যৌক্তিকীকরণের জন্যও আলাদা একটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুন্দর শহর রাজশাহী। এটি রাজশাহীবাসীর গৌরবের। আমি গতকাল দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আজ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি। জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো, সেবাসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক নাগরিক সেবা চালু হয়েছে, যেগুলো বাকি রয়েছে, সেগুলোও আজকের মধ্যে চালু করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতাভুক্ত উন্নয়ন কাজসমূহ শুরু করা হবে। আয়ের খাতসমূহ দ্রুতই চালু করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের কোন কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কর্মকর্তাদের সাথে মতিবিনিময় করেছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগর ভবনের সিটি হলরুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতনিবিময় সভায় সিটি প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, ইপিআই কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবা ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। বাকি সেবাগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে নগর ভবন থেকে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন সিটি প্রশাসক। এছাড়াও সভায় নগর ভবনসহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও জনবল যৌক্তিকীকরণে পৃথক দুইটি কমিটি গঠন করা হয়।