২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০২:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে থানায় ফিরেছে পুলিশ, শুরু হয়েছে কর্মযজ্ঞ
মঈন উদ্দিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৮-২০২৪
রাজশাহীতে থানায় ফিরেছে পুলিশ, শুরু হয়েছে কর্মযজ্ঞ ফাইল ফটো


রাজশাহীর থানাগুলোতে পুলিশ ফিরতে শুরু করেছে। শনিবার থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত রাজশাহীর জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন থানায় গিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)। লোকজন নিয়ে তাঁরা ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। ফাঁড়িগুলোও পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া শনিবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে গিয়েছেন কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।

গত সোমবার আরএমপি সদর দপ্তরও জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে লুটপাট হয়েছিল। পুলিশ কমিশনারের কক্ষে একটি টেবিল ছাড়া কিছুই ছিল না। পুলিশ কমিশনার আরএমপি সদর দপ্তরে গিয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করেন এবং সবকিছু ঘুরে দেখেন।

আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আরএমপি সদর দপ্তরে এখনো বসার পরিবেশ নেই। আমরা পুলিশ লাইনসে বসে কাজ করছি। থানাগুলোতে ওসিরা চলে গেছেন। বসার মতো পরিবেশ করা মাত্রই অন্য পুলিশ সদস্যরা থানায় চলে যাবেন।’

এদিকে, রোববার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন থানায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের কর্মযজ্ঞ।

আরএমপির এয়ারপোর্ট থানার সামনে পুলিশের পিকআপ ভ্যান রাখা হয়েছে। শুরু হয়েছে পূর্ণ কর্মযজ্ঞ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মনির হোসেন বলেন, আমরা শুক্রবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় গণ্যমান্য সুধীজন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে মতবাদ করার পর শনিবার থেকেই সীমিত আকারে কর্মযজ্ঞ শুরু করি এরপর রোববার থেকে পুরোপুরি কাজ শুরু হয়েছে।

এর আগে শনিবার কাজে যোগ দিয়ে পুলিশ সদস্যদের নিজেদের জনগণের সেবক প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির রাজশাহী শাখা।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘জনগণের প্রতি আমরা আকুল আবেদন রাখছি, আমাদের অতি প্রয়োজনীয় এ বাহিনী পুনর্গঠনে যেন ভূমিকা রাখি। আমরা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি, অতি দ্রুত আপনারা কাজে যোগদান করুন এবং দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করে নিজেদের জনগণের সেবক হিসেবে প্রমাণ করুন।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শতাধিক পুলিশ নিহত হয়েছে দাবি করে মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘ক্ষোভ থেকে থানা-ফাঁড়িতে জনগণ পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনো পুলিশের লাশ উদ্ধার হচ্ছে। পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে এ এক বেদনাদায়ক অধ্যায়।’