পাওনা সাড়ে ৩০০ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত সাব্বির আহমেদের (২২) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভ থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শান্তির দাবি করা হয়।
নিহত সাব্বির আহমেদ মুরশইল এলাকার হায়দার তালুকদারের ছেলে। তিনি চায়ের দোকানে কাজ করতেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা হায়দার তালুকদার বাদী হয়ে রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আটক হওয়া মিজানুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সাব্বিরের সঙ্গে আসামিদের ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া কৌটাপুকুর মোড়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ, গোলাপ, অন্তরেরা সাব্বিরকে ঘিরে ধরে সাব্বিরের বুকের বাঁ পাশে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সাব্বিরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ১০টায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার গোলাপ হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানকে (৩০) আটক করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, সাব্বির আহম্মেদ চায়ের দোকানে কাজ করতেন। তার সঙ্গে মিজানুর রহমান এবং পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ, গোলাপ ও অন্তরের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শনিবার রাতে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের (ওসি তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তাদের মধ্যে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়েই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।