দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঝালের ঝাঁজ যেনো দিনদিন বেড়েই চলেছে। কাঁচামরিচ মানেই এখন সোনার হরিণ। একদিনে মরিচের দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। ১৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। অথচ একদিন পূর্বেই যা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৩০ টাকা দরে।
শনিবার (২৭ জুলাই) এমনি চিত্র দেখা মিলে ফুলবাড়ী পৌরএলাকার পাইকারি সবজি বাজার ঘুরে।
দেখা যায়, ভারতীয় এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচা মরিচের আমদানি স্বাভাবিক থাকার পরও কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। অথচ গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) একই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় খুচরা সবজি শাহিনুর ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ আরো বিক্রেতারা বলেন, সবধরণের সবজির দাম বিশেষ করে এই মুহুর্তে কাঁচা মরিচের দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা যেভাবে দাম সকালে নির্ধারণ করেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা সেভাবেই বেচাবিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রত্যেক পাইকারি ব্যবসায়ীর ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ মজুদ থাকার পরও আমদানি কম হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে প্রতিকেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে বিক্রি করছেন। অথচ একদিন আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৩০ টাকায়।
সবজি কিনতে আসা পলাশ দাস ও আব্দুল কাদেরের সাথে কথা হলে তারা বলেন, একদিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৩০ টাকা কেজিতে কিনতে পারলেও শনিবার (২৭ জুলাই) কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ও দুলাই সাহা বলেন, তাদের প্রতিদিন হোটেলের সবধরণের তরকারির জন্য কাঁচামরিচের নিত্যপ্রয়োজন হয়। এজন্য প্রতিদিন এক থেকে দেড় কেজি কাঁচামরিচের প্রয়োজন হয়। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমাণে কাঁচা মরিচ কিনেছেন তারা।
খুচরা সবজি বিক্রেতা হারুন উর রশীদ ও শাহ আলম বলেন, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শনিবার (২৭ জুলাই) কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ১৮০ টাকায়। কি কারণে দাম বেড়েছে সেটা স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরাই ভালো বলতে পারবেন।
পাইকারী ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম ও দীপক কুমার বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় দাম একটু বেড়েছে। এজন্য খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে খুচরা বাজারেও দাম কমে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, সবজি বাজারে উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপরও কেউ কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।