২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৮:৪৬:৩৬ পূর্বাহ্ন


স্ত্রীর আত্মহত্যার ৩ দিন পর স্বামীর আত্মহত্যা
মোঃ শাহানুর আলম বাবু, স্টাফ রিপোর্টার-বাঘা:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৭-২০২৪
স্ত্রীর আত্মহত্যার ৩ দিন পর স্বামীর আত্মহত্যা স্ত্রীর আত্মহত্যার ৩ দিন পর স্বামীর আত্মহত্যা


বাঘায়  স্ত্রীর আত্মহত্যার তিন দিন পর  একইভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন  স্বামী জার্মান আলি (২৬) ।

সোমবার ( ১৫ জুলাই ) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার আড়ানী ইউপির  ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের  নওসাদ আলীর ছেলে। এর আগে গত শুক্রবার  (১২ জুলাই) রাত  ১১টায় জার্মান আলীর স্ত্রী সাগরিকা আক্তার গলায় ফাঁস (রহস্যজনক) দিয়ে  আত্মহত্যা করে। তিন দিনের ব্যবধানে স্বামী স্ত্রীর একইভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে ।

জানা যায়, গত ( জুন) মাসের প্রথম সপ্তাহে পারিবারিকভাবে জার্মান হোসেনের সাথে নাটোরের  বাগাতিপাড়া  থানার উল্লাস গ্রামের  আব্দুল গাফফার এর মেয়ে সাগরিকার বিবাহ সম্পন্ন হয়।  বিবাহের সময় জার্মান হোসেনকে সাগরিকার পরিবারের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা দেবার চুক্তি হয়। যার মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা বিবাহের সময় প্রদান করেন। পারিবারিক সমস্যা  ও অভাব অনটনে থাকায়  বাঁকি ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য চার মাসের সময় নেয় সাগরিকার পিতা।  কিন্তু সাগরিকার স্বামী জার্মান হোসেন নেশা গ্রস্ত হওয়ায় উক্ত টাকা ১৫ দিনের মধ্যে খরচ করে ফেলে এবং বাঁকি ৫০ হাজার টাকার জন্য সাগরিকাকে চাপ সৃষ্টি করে ও নির্যাতন করে । বিষয় টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্যের  সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গত  শুক্রবার(১২ জুলাই ) রাতে সাগরিকা আত্মহত্যা ( রহস্যজনক ) করে। 

পরে সাগরিকার  পিতা আব্দুল গাফফার যৌতুকের  টাকার জন্য  মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে মর্মে  জার্মান আলী সহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জার্মান আলি পলাতক ছিলেন।  সোমবার( ১৫ জুলাই ) দিবাগত রাতের কোন এক সময  নিজ বাড়ির  পার্শ্ববর্তী ইমাজ উদ্দিনের আম বাগানের  একটি গাছে  গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে জার্মান আলি। পরদিন ( মঙ্গলবার) সকালে শ্রমিকেরা কাজে এসে জার্মানের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাসুদ হোসেন।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি- তদন্ত) সোয়েব খান  বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে  সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেন সিক  বিভাগে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।   প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর শোক সইতে না পেরে কিংবা মামলার ভয়ে অথবা হতাশাগ্রস্ততা থেকে সে আত্মহত্যা করতে পারে।