২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ন


চবি-কুবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ
এম শামীম ,রাবি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৭-২০২৪
চবি-কুবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ চবি-কুবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ


চট্রগ্রাম-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে ঢাকাগামী আসা একটি ট্রেন আন্দোলনের স্থান থেকে এক কিলোমিটার দূরে অপেক্ষমাণ।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

'আমার ভাইয়ের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই', কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই, মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ এমনসব স্লোগানে মুখর করে তুলেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন চলমান রেখেছিলাম কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ আমার ভাইদের উপর হানলা চালায়। এদেশে পুলিশি হামলা কখনো ছাত্রদের আন্দোলন থামাতে পারেনি। যদি ছাত্রদের আন্দোলন পুলিশ বা দেশের সরকার থামাতে পারতো তাহলে আজ দেশ স্বাধীন হতো না। আমরা ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে রক্ত দিয়ে দেখিয়েছি আমাদের দাবি আমরা আদায় করতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে আমার ভাইদের উপর গুলিয়ে চালিয়েছে পুলিশ। এরই প্রতিবাদে আজ বিকেলে আমরা ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করেছি। ছাত্র থেকেই আপনারা পুলিশ হয়েছেন কিভাবে আমাদের উপর আপনার গুলি চালান। আন্দোলনে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার ভাইদের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই সরকারকে কোটা সংস্কারের দাবি মানতে হবে। নাহলে আমাদের এ আন্দোলন থেকে কেউ উঠাতে পারবো না। আমরা আজ থেকে রেললাইন অবরোধ করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠবো না।

এসময় আন্দোলনে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান নেন।