০২ Jul ২০২৪, মঙ্গলবার, ০২:৪৭:১৫ অপরাহ্ন


রাবিতে শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি আগামীকাল
এম. শামীম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৬-২০২৪
রাবিতে শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি আগামীকাল রাবিতে শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি আগামীকাল


অর্থমন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে আগামীকাল পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। সেই সাথে সকাল ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষকরা।পরীক্ষাসমূহ এ কর্মসূচীর বাইরে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক সরকার। জানা গেছে, দাবি আদায়ে আগামীকাল থেকেই শক্ত অবস্থানে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।

অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক সরকার জানান, "বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও আগামীকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। শিক্ষকরা কোনো ক্লাস নিবেন না; তবে যেসব বিভাগে পরীক্ষা চলছে কেবল সেগুলো নেওয়া হবে।"

দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই থেকে ক্যাম্পাস শাট-ডাউন থাকবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক সরকার বলেন, "এরমধ্যে দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে; একদম শাট-ডাউন। শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে আসবেন; আমরা প্রতিদিনই সিনেট ভবনের সামনের অংশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলতে থাকবে।"

ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আগামীকাল (৩০ জুন) থেকে। শিক্ষকদের কর্মবিরতির এমন সিদ্ধান্তের ফলে ছুটির পর আগামীকাল রাবিতে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।

এদিকে, নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস ১ জুলাই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৫ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আপাতত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তো আর বলা যাচ্ছে না যে ক্যাম্পাস বন্ধ। শিক্ষকরা তাদের  কিছু দাবির প্রেক্ষিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন; এখানে ক্যাম্পাস তো খোলা আছে। আমরা চাই সরকারের পক্ষ থেকে এটার দ্রুত একটা সমাধান হোক।"