কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের তরুণ। ফেসবুকে বিভিন্ন জনের পোস্টে এবং কয়েকটি গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ইফাতের বাসা ধানমন্ডিতে এবং তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানের ছেলে।
তবে মতিউর রহমানের দাবি, ইফাত নামে তার কোনো ছেলে নেই। এ বিষয়ে তিনি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে জানান।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো প্রশ্ন নয়। এ নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেবো না।’
টিসিবি ভবনে সেমিনারে অংশ নেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমটিসিবি ভবনে সেমিনারে অংশ নেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতির বিবর্তন, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ নির্দেশনা’ নিয়ে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনার শেষে এক সাংবাদিক ছাগল নিয়ে প্রশ্ন করলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারও প্রশ্নের উত্তর দেবো না। এটা কোনো প্রশ্ন না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ওইসব পোস্টে বলা হয়, ‘ধানমন্ডির ওই তরুণ’ ১৫ লাখ টাকার ছাগল ছাড়াও চারটি গরু কিনেছেন। সব মিলিয়ে অর্ধকোটি টাকার কোরবানি দিচ্ছেন ইফাত। এসব পশু তিনি আলোচিত সাদিক এগ্রো থেকে কিনেছেন।
তবে গণমাধ্যমকে সাদিক এগ্রোর কর্ণধার মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন জানিয়েছেন, আলোচিত তরুণ শুধু এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটি খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি। পাশাপাশি ওই ছেলের বাবাও রাজস্ব কর্মকর্তা নন। তার বাবা বিদেশে থাকেন।