২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:২৯:০৯ অপরাহ্ন


পানির অপচয় রোধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৪-২০২২
পানির অপচয় রোধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো


কোনো সম্পদই অফুরন্ত নয়, আর তার ব্যবস্থাপনায় যে সরকারকে খরচ করতে হয়, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পানির অপচয় বন্ধ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ব পানি দিবস ২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থেকে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পর্যায়ে আমরা পাইপের মাধ্যমে পানি পরিশুদ্ধ করে সরবরাহ করার ব্যবস্থা নিয়েছি। এগুলো করতে অনেক খরচ হয়। তাই পানির অপচয় বন্ধ করতে হবে। সেটা নির্মাণ কাজ, গাড়ি ধোয়ার কাজ, গৃহস্থালি, রান্না বা যেকোনো কাজেই ব্যবহার করা হোক। সব ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ পানিসম্পদ অপচয় করলে শেষ পর্যন্ত কোনো সম্পদই থাকে না। কাজেই আমাদের এ অমূল্য সম্পদ আমরা কিভাবে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারি, ভবিষ্যৎ বংশধর ব্যবহার করতে পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৃষ্টির পানি যেন ভূ-গর্ভে চলে যেতে পারে, তাতে ভূগর্ভস্থ পানি পুনর্ব্যবহার হবে, সেদিকে দৃষ্টি রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সব জায়গা আমরা সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দিলাম, আর বৃষ্টির পানি গড়িয়ে চলে গেল সেটা না, আবার বৃষ্টির পানি সব যে নদীতে পড়বে তাও নয়। আমাদের আশপাশের জলাধারে যেন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ থাকে, যেতে পারে, সেই ব্যবস্থাটাও আমাদের নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি অবস্থা, ভৌগোলিক অবস্থান সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকি। কারণ এদেশ আমাদের, মাটি ও মানুষ আমাদের। তাদের কল্যাণ এবং মঙ্গল কিসে হয়, শুধু আজকের জন্যই নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ দেশ যেন উন্নত এবং সমৃদ্ধ থাকে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, ‘পানির অপর নাম জীবন, কাজেই পানি সম্পদকে রক্ষা করা আমাদের একান্তভাবে প্রয়োজন। ভূগর্ভস্থ পানি যত কম ব্যবহার করা যায়, ভূ-উপরিস্থ পানি যত বেশি ব্যবহার করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা নিজেরা সমস্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতেও যখন বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়, এ বিষয়টি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখনই কোনো নগরায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, কোনো ভবন বা বাসস্থান নির্মাণ করা হবে, সবক্ষেত্রেই আমাদের দুটো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একটা হচ্ছে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা, আরেকটা হচ্ছে জলাধার থাকা। জলাধার থাকা একান্ত ভাবে প্রয়োজন। সেখানেও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ হয়। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং ব্যবহারে আমাদের বিশেষভাবে জোর দিতে হবে এবং সেভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে।’

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।

রাজশাহীর সময়/এএইচ