অবশেষে ইমরান খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকিস্তান সরকারের। তুমুল নাটকীয় ঘটনা পরম্পরার শেষে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকছেন না ইমরান। পাকিস্তান ক্যাবিনেট সচিবালয় অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানকে অপসারণের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পাক সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে ইমরান খান আর প্রধানমন্ত্রী নন।বিধানসভা বিশৃঙ্খলার পরে সর্বশেষ এই বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তান সরকার বলেছে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে, বিরোধীরা এটিকে "অসাংবিধানিক" বলে অভিহিত করে। অন্যদিকে, জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে রবিবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিরোধীরা।
এর পরে, রবিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে বিরোধীদের আবেদনের শুনানি শুরু করে। এরইমধ্যে, পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগ করলে বিরোধীরা আয়াজ সাদিককে জাতীয় পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত করে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ৩৪২ জন সদস্য রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন। এই মুহূর্তে ইমরান খানের পক্ষে ১৪২ জন সদস্যের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের দিকে সমর্থন রয়েছে ১৯৯ জন সদস্যের। এদিকে তথ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই একটি আদেশ জারি করেছে যে পাকিস্তানে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহীর সময় / এম আর