মাত্র দুদিন আগেই ৬ জুন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনা রানাওয়াতকে একজন মহিলা CISF জওয়ান কষিয়ে থাপ্পড় মারেন। সেই ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কঙ্গনা নিজেও স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। সেই মহিলাও কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন জানিয়েছেন। বর্তমানে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশ দুটো দলে বিভক্ত। এক দল কঙ্গনাকে চড় মারায় দারুণ খুশি, আরেক দল বলাই বাহুল্য এটিকে সমর্থন করেনি। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল একটি ভাইরাল ভিডিয়ো।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সেখানে দেখা যাচ্ছে রাজপথে এক ব্যক্তি লাড্ডুর প্যাকেট নিয়ে ঘুরছেন এবং সিগন্যালে আটকে থাকা সমস্ত গাড়িতে গিয়ে সবাইকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন। এক ব্যক্তি সেটির ভিডিয়ো করেন, এবং তাঁর থেকে জানতে চান কেন কোন খুশিতে এই মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন তিনি। জবাবে সেই ব্যক্তি বলেন, 'ওই কঙ্গনাজিকে চড় মেরেছে না সেই আনন্দে।'
এদিন এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান KRK অর্থাৎ কমল আর খান। নিমেষে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ভিডিয়ো। কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়েছে এটিকে। শেয়ার হয়েছে অনেকবার। তিনি এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, 'গোটা ভারতে কঙ্গনা বোধহয় এমন একমাত্র মানুষ জিনিস চড় খাওয়ায় লোকজন এভাবে খুশি হয়ে মিষ্টি বিলোচ্ছে।'
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে নব নির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমান ধরনে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার দুপুরে। সেখানে নাকি তিনি CISF-এর এক মহিলা জওয়ানের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর পরেই শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হতে হয় তাঁকে। কঙ্গনা দিল্লি পৌঁছে নিজে এক ভিডিয়োবার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, ওই জওয়ান তাঁকে আক্রমণ করেন, কারণ সেই মহিলা নাকি কৃষক আন্দোলনের সমর্থক। যেহেতু কঙ্গনা এক সময়ে এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং সমালোচনা করেছিলেন, তাই এই আক্রমণ। এর পরে কঙ্গনা পঞ্জাবে উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে বলে অভিযোগ তোলেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
PTI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বীর কৌর জানিয়েছেন, ‘আমার মেয়ে যেটা করেছে ঠিক করেছে।’ প্রসঙ্গত, CISF-জওয়ানের মা বীর কৌর নিজেই পঞ্জাবে হওয়া কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এদিকে কঙ্গনাকে চড় যিনি মেরেছেন, সেই CISF জওয়ান নিজে ঘটনার বিষয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমার নিজের চাকরির চিন্তা নেই, মায়ের সম্মানের জন্য আমি এমন হাজারও চাকরি কুরবান করতে পারি।’
এদিকে কঙ্গনাকে চড় কষানোর ঘটনায় গোটা বলিউড নিরব থাকলেও মুখ খুলেছেন সঙ্গীক পরিচালক বিশাল দাদলানি। তিনিও CISF-এৎ অভিযুক্ত জওয়ান কুলবিন্দরের সমর্থনে লেখেন, ‘আমি কখনওই হিংসা সমর্থন করি না। তবে আমি এই CISF কর্মীর রাগের কারণ বুঝতে পারি। সিআইএসএফ যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়, তবে আমি ওঁর চাকরি নিশ্চিত করব, যদি তিনি সেই চাকরি গ্রহণ করতে চান। জয় হিন্দ। জয় জওয়ান। জয় কিষাণ।’