২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০২:২৪:২২ পূর্বাহ্ন


বাজেটে দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৬-২০২৪
বাজেটে দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের ছবি: সংগৃহীত


রাজস্ব আহরণ ত্বরান্বিত করতে এবং দেশীয় শিল্প সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক, কর বা মূসক বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকতে পারে আজকের বাজেটে। প্রতি বছর নতুন বাজেট ঘোষণার পর দেখা যায় বেশ কিছু পণ্যের দামের পরিবর্তন ঘটে। কিছু পণ্যে শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করে সরকার, ফলে সাধারণত সেসব পণ্যের দাম কমতে দেখা যায়। আবার কিছু পণ্যে সরকার নতুন করে কর আরোপ করে, ফলে অনেক পণ্যেরই দাম বেড়ে যায়।

নতুন বাজেটে ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ ডায়লেসিস ফিল্টারের দাম কমতে পারে। সেহেতু খরচ কমতে পারে ডায়ালাইসিসে। এছাড়া ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের দাম কমতে পারে। কমতে পারে গুঁড়ো দুধ ও চকলেটের দাম। ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে সবমিলিয়ে পণ্যটিতে ৩১ শতাংশের পরিবর্তে ২০ দশমিক ৫০ শুল্ক-কর দিতে হবে। ফলে কমতে পারে ল্যাপটপের দাম।

এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিন ও প্রপেলার আমদানি পর্যায়ে কমতে পারে মূসক। ফলে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে কমতে পারে খরচ। দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টসের আমদানি শুল্ক কমছে। এতে দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের দাম কমতে পারে।

বিশাল অঙ্কের প্রস্তাবিত এ বাজেট বাস্তবায়নের জন্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত খাত থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এডিপির আকার করা হয় ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে ভর্তুকিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশের বেশি ছিল। কিন্তু, আগামী অর্থবছরের ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

আগামী অর্থবছর নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং জীবনযাত্রার মান যেন সীমার মধ্যে থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে চান অর্থমন্ত্রী। এ জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে সাড়ে ৬ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের পরিকল্পনা থাকছে। যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। 

আগামী অর্থবছরে সর্বোচ্চ ব্যয় হবে সুদ পরিশোধে ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা, ভর্তুকি ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ও পেনশন ১ লাখ কোটি টাকা।