ধর্ষণের জন্য মোবাইল ফোনকেই দায়ি করলেন গুজরাটের মন্ত্রী। গুজরাটতে দেশের নিরাপদ রাজ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন গুজরাটে এজাতীয় ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।
ধর্ষণের জন্য দায়ি মোবাইল ফোন। তেমনই দাবি গুজরাটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর। এদিন বিজেপি নেতা তথা গুজরাটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হর্ষ সাংভি বলেছেন মোবাইল ফোনে প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিওগুলি সহজে পাওয়া যায়। যা সমাজের মানসিকতা বদলে গিয়েছে। সেই কারণেই ধর্ষণ হচ্ছে। সুরাটের একটি অনুষ্ঠানেই এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছেন তিনি। বলেছেন আমরা সর্বদা পুলিশকেই দায়ি করি, কিন্তু এটি ঠিক নয়। ধর্ষণ আমাদের সমাজের কলঙ্ক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হর্ষ সাংভি বলেছেন, ধর্ষণের জন্য আমরা সর্বদা পুলিশকেই দায়ি করি। কিন্তু এটা ঠিক নয়। ঘর্ষণের জন্য দায়ি মোবাইয়েল ফোনে পর্ন ছবির সহজ উপলব্ধি। যা আমাদের সমাজের মানসিকতাকে বদলে দিয়েছে। এটি আমাদের সমাজের কলঙ্ক। ধর্ষণের জন্য পুলিশকে সর্বদা দায়ি করি। কিন্তু এটা ঠিক নয়।' তিনি আরও বলেন, দেশের সবথেকে নিরাপদ স্থান হল গুজরাট। কিন্তু যতই নিরাপদ হোকনা না কেন- এই রাজ্যের কোনও শহরে যদি দুই একটা ঘটনা ঘটে তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
সাংভি বলেছেন, সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ধর্ষণের ঘটনায় মূলত জড়িয়ে রয়েছে মোবাইল ফোন। পরিচিত ব্যক্তিদেরও অপরাধ করতে দেখা গেছে। ভারতে এজাতী ঘটনা বেশি ঘটছে বলেও দাবি করেন তিনি।
হর্ষ সাংভি বলেছেন, যখন একজন বাবা তার ছোট্ট মেয়েকে ধর্ষণ করে - সেটা কি বড় সামাজিক সমস্যা নয়। এক বাবা যদি তার মেয়েকে ধর্ষণ করে তার কারণ লুকিয়ে রয়েছে তার মোবাইল ফোনের মধ্যে। তিনি আরও বলেন ভারতের অধিকাংশ ধর্ষণকাণ্ডে যুক্ত পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী বা পরিচিতরা। একটি অল্পবয়সী মেয়ে যখন তাদের সংস্পর্শে আসে তখন তারা সেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা সমাজের কলঙ্ক।
রাজশাহীর সময় / এম জি