২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৫:৫৭:১১ পূর্বাহ্ন


কীভাবে অতিক্রম হল নিরাপত্তার ৭ টি সীমা?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৫-২০২৪
কীভাবে অতিক্রম হল নিরাপত্তার ৭ টি সীমা? ছবি: সংগৃহীত


উন্নয়নের অন্ধ দৌড়ে সারা বিশ্ব প্রতিদিন নতুন নতুন আবিষ্কারে ব্যস্ত। কিন্তু, এর মাধ্যমে আমরা জলবায়ুর অনেক ক্ষতি করছি। জলবায়ুর ক্ষতির কারণে পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রাণী ও উদ্ভিদ সহ মানুষের স্বাস্থ্য এবং আমাদের গ্রহের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, আমরা পৃথিবীর নিরাপত্তার ৭টি সীমা অতিক্রম করেছি। বর্তমানে আমরা জলবায়ুর ৮টি নিরাপদ সীমার সর্বশেষে বসবাস করছি। তাই প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণে বিশ্বের দেশগুলো দ্রুত একসঙ্গে কাজ শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে মোট ৮টি প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর রয়েছে। এই স্তর কেবল মানুষ এবং পৃথিবীতে বসবাসকারী সমস্ত প্রাণী এবং গাছপালাকে সুরক্ষাই দেয় না বরং তাদের সুস্থও রাখে। নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি সারা বিশ্বের ৪০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানীর একটি দল করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের গ্রহ এখন আর মানুষের বসবাসের উপযোগী নয়। গবেষকদের মতে, মানুষ পৃথিবীকে নিরাপদ রাখার প্রতিটি সীমা অতিক্রম করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিজ্ঞানীরা মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

নেচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃতি থেকে আমরা যা পেয়েছি তার সবই দূষিত হয়েছে। ধীরে ধীরে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী এবং আমাদের নিরাপত্তা সীমার মধ্যে রয়েছে জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য, স্বাদু জল, হাওয়া, মাটি ও জল। এই সবের মধ্যে বিষের মাত্রা অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ কারণে পৃথিবীর পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনে। বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণায় দেখেছেন যে, পৃথিবীতে জীবন সুরক্ষার উপাদানগুলি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী এবং এখানে বসবাসকারী প্রতিটি জীবিত প্রজাতির নিরাপত্তা প্রদানকারী উপাদানগুলো যদি বিপদে পড়ে, তাহলে আমাদের এবং আমাদের গ্রহের কী হবে তা কল্পনা করা কঠিন নয়। লেখা অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, জলবায়ু ১-সি সীমা অতিক্রম করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে পরিবর্তিত জলবায়ুতে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের অধ্যাপক জোহান রকস্ট্রোমের মতে, আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।