চপার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ৬৩ বছর। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদৌ কি এটা দুর্ঘটনা? নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? বিশেষ করে ইরানের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ফর এক্সিকিউটিভ অ্যাফেয়ার্স মহসেন মনসুরির এক মন্তব্যে জল্পনা ঘনিয়েছে। তিনি বলেছেন, উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে তাঁদের দুই সরকারি আধিকারিকের যোগাযোগ হয়েছে। জানা গেছে, তা থেকে মনে হচ্ছে এই মৃত্যুর পিছনে ‘অন্তর্ঘাতে’র মতো কারণও থাকতে পারে।
আর এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, যদি সত্যি তেমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে কি আর্মেনিয়ার জন্য তা ‘সিঁদুরে মেঘ’ হতে পারে? আসলে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া চিরশত্রু। থেকে থেকেই সংঘর্ষে জড়ায় তারা। দুই দেশই একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিল। নয়ের দশকে সোভিয়েতের পতনের পরই সীমান্ত সংঘাত শুরু হয় তাদের মধ্যে।এদিকে আজারবাইজানের সঙ্গে সখ্য রয়েছে ইরানের। রবিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরস নদীর উপরে একটি বাঁধ উদ্বোধন করার উদ্দেশেই সেদিকে গিয়েছিলেন রাইসি । পূর্ব আজহারবাইজানের পাহাড়ি এলাকায় ধাক্কা খায় তাঁর চপার।
আর এখানেই যেহেতু ‘ষড়যন্ত্রে’র কথা উঠছে তাই জল্পনায় উঠে আসছে আর্মেনিয়ার নামও। কেননা আর্মেনিয়ার গেরিলা বাহিনী যেহেতু খুব দূরে নেই, তাই তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা অন্য কোনও চক্রান্তেই রাইসি প্রাণ হারিয়েছেন কিনা এই প্রশ্নও তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি সত্যিই তাই হয়, সেক্ষেত্রে আর্মেনিয়া সরকার যে বড় সমস্যায় পড়বে তাতে সন্দেহ নেই। সব মিলিয়ে রাইসির মৃত্যু ঘিরে জট বাড়লে পরিস্থিতি যে আরও জটিল হয়ে উঠবে সেব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা।