২০ মে ২০২৪, সোমবার, ০৭:৩০:৪১ অপরাহ্ন


ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি গাছপালা বিধ্বস্ত
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৫-২০২৪
ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি গাছপালা বিধ্বস্ত ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি গাছপালা বিধ্বস্ত


কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ফরিদপুরের কয়েকটি গ্রামে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও কয়েকশো গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় ঝড়ে বাড়ির বিদ্যুতের মিটার ও চালের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। রাস্তায় গাছপালা পড়ে যান চলাচলও ব্যাহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছপালা সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছেন। ঝড়ের পর থেকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলাসহ অনেক জায়গায় বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কালবৈশাখীর এ তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীরা জানান, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে ঘরবাড়িসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওবায়দুর রহমান জানান, সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর ঝড়ে বোয়ালমারীর সহস্রাইল বাজার হতে আলফাডাঙ্গা সড়কে বড় কয়েকটি গাছ ভেঙ্গে পড়ে ছোট বড় যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে আমরা গাছপালা অপসরণ করেছি। এখনো কাজ চলমান রয়েছে। ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জানতে পেরেছি অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারবো।

ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) মোর্শেদুর রহিম জানান, ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মেইন লাইন কানাইপুরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ অনেক জায়গায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বোয়ালমারীর জয়পাশা, ময়েনদিয়া এলাকায় বিদ্যুতের পিলারও পড়ে গেছে। আলফাডাঙ্গারও কয়েকটি জায়গায় বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের কর্মীরা মাঠে কাজ করছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের লাইনের ক্ষতি হওয়ায় অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে বিলম্ব হতে পারে।

এব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, আমরা এখনো ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য পাইনি। আমরা প্রকৃত তথ্য সংগ্রহে কাজ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন ও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।