অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজের হামলায় নিহত হল ৭ জন শ্রমিক। পাকিস্তানের গদর বন্দরের কাছে এই ঘটনা ঘটে। একে জঙ্গি হামলা বলে দাবি করেছেন বালুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি। হামলার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেছেন, কোনও দোষীকে ছাড়া হবে না।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে বালুচিস্তান প্রদেশের গদর বন্দরের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সেখানকার একটি আবাসিক কোয়ার্টারে শ্রমিকরা বিশ্রাম করছিলেন। সেই সময় অজ্ঞাত পরিচয় এক দুষ্কৃতী এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ৭ জনকে গদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়। গুলির আঘাতে ওপর একজন গুরুতর জখম হন। জানা গেছে, নিহত শ্রমিকরা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানকার সুর বন্দর এলাকার একটি দোকানে নাপিতের কাজ করতেন।
এই ঘটনাকে জঙ্গি হামলা বলে উল্লেখ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বালুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি। নিন্দা করে তিনি বলেন, 'এটা জঙ্গি হামলা। কোনও অপরাধীকে ছাড়া হবে না। মৃতদের সকলের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রয়েছে।" এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বালুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর জিয়া উল্লাহ লাঙ্গাউ বলেছেন, "এইভাবে নিরীহ শ্রমিকদের হত্যা করা কাপুরুষতা।" খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বালুচিস্তানের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তা-সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, আরব সাগরের তীরে এই গদর বন্দরটি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। বন্দরের উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। বালুচিস্তানে প্রবল অশান্তি, জঙ্গি হামলা সত্ত্বেও এই বন্দরের উন্নয়ন হয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের মাধ্যমে। এছাড়া পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি করিডোর তৈরি করা হচ্ছে। এই করিডোর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালুচিস্তান-সহ গিলগিট-পিওকে-র নাগরিকরা। এই প্রকল্পের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বালুচিস্তানের স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। এর আগেও একাধিকবার গদর বন্দরে জঙ্গি হামলা হয়েছে।
পুলিশকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শেষ পাওয়া খবরে কোন জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।