বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ফের যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইরানের মিসাইল হামলার পালটা দিতে এদিন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইজরায়েল। তবে ইজরায়েলের ছোড়া সমস্ত ড্রোনই গুলি করে নামানো হয়েছে বলেই দাবি ইরানের। তবে ইরানের একাধিক শহরে বিমান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকার ‘পরামর্শ’ উপেক্ষা করেই ইরানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তবে ওয়াশিংটন এই পালটা মারের কথা জানত বলেই সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরানের একাধিক পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে ইজরায়েল। তবে হামলার পরে তেহরানের তরফে জানানো হয়, পরমাণু কেন্দ্রগুলো সুরক্ষিত রয়েছে। এছাড়াও ইজরায়েলের ছোড়া তিনটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে ইরান। বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইজরায়েলি মিসাইল ধেয়ে এলেও কোনও ক্ষতি হয়নি। ইরানি সেনার অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক সিয়াভোশ মিহানদোস্ত জানান, ইজরায়েলের হামলায় দেশে কোনও ক্ষতি হয়নি।
তবে একাধিক উড়ান বাতিল করা হয়েছে গোটা ইরানে। বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরের সমস্ত উড়ান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বহু বিমানের যাত্রাপথ পালটে দেওয়া হয়েছে ইজরায়েলি হামলা এড়াতে। বিশেষত ইরানের পশ্চিমদিকে যেন কোনও যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ফের শুরু হয়েছে বিমান চলাচল। ইজরায়েলের ‘পালটা মারে’ আবারও যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, আমেরিকাকে জানিয়েই ইরানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তবে হামলার নেপথ্যে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই বলেই জানিয়েছেন মার্কিন আধিকারিকরা। হামলার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইজরায়েলের এক আধিকারিক জানান, ইরানকে বার্তা দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ। দরকার হলে ইরানে ঢুকেও হামলা করতে পারে ইজরায়েল, সেটা বোঝাতেই এই মিসাইল ছোড়া। তবে আপাতত মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনও ইজরায়েলের হামলার পালটা দেয়নি ইরান। তবে আগামী দিনে ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বে জেরে অশান্তি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।