রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং প্রমিতা চক্রবর্তীর জুটি খুব জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সাত ভাই চম্পা ধারাবাহিকে কাজ। আর তারপর প্রেম আর বিয়ে। যদিও আইনি মতে এক হয়েছেন। বাকি রয়ে গিয়েছে সামাজিক বিয়েটা। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি দুজনে একসঙ্গে ভ্লগিং করেন। যার মধ্যে থাকে ট্রাভেল ভ্লগিংও। আপাতত চলছে, গোয়ার ছবি পোস্ট করা।
আর তাতেই সমুদ্রপাড় থেকে ছবি দিতে ট্রোলের মুখে পড়ে গেলেন প্রমিতা।
গোলাপি রঙের ক্রপ টপ পরে আছেন প্রমিতা। সমুদ্রের ধারে পাথরের উপর শুয়ে ছবিটি তুলেছেন। কোমরে একটি সরু চেইন। নিম্নাঙ্গে জড়ানো একটি মাল্টি কালারের স্কার্ফ। তবে এই ছবিতেই বডিশেম করা হল অভিনেত্রীকে। উত্তর গোয়ার কাবো দে রামাতে অবস্থিত একটি পাঁচতারা হোটেলের প্রাইভেট বিচে ছবিখানা তোলা হয়েছে।
একজন মন্তব্য করলেন, 'যেন শুটকি মাছ পড়ে আছে'। অপরজন লেখেন, 'আগেই দেখতে ভালো ছিল। এখন আর ভালো লাগে না।' তৃতীয়জনের মন্তব্য, 'কনক এর রোল করত, কী ভালো লাগত তখন। এখন এরকম কেন!'
১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন আইনি বিয়েটা করেছিলেন তাঁরা। এর আগে 'পিলু' ধারাবাহিকে একে অপরের বিপরীতে কাজ করেছেন। তবে দুজনেই দীর্ঘদিন ক্যামেরা থেকে দূরে। যা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলছিল অনুরাগীরা। কিন্তু মুখ বন্ধই রেখেছেন দম্পতি।
এক সাক্ষাৎকারে প্রমিতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'কাজ তো করবই। শীঘ্রই কিছু না কিছু শুরু হবে। দুজনেই বিরতি নিয়েছিলাম কিছুদিনের। আমরা ভ্লগ নিয়েও বেশ ব্যস্ত আছি।'
ধারাবাহিক 'সাত ভাই চম্পা'-তে অভিনয় করতে গিয়েই প্রমিতা ও রুদ্রজিতের আলাপ হয়। পারুল চরিত্রে ছিলেন প্রমিতা। আর রুদ্রজিতের চরিত্রের নাম ছিল রাঘব। তবে প্রথম সাক্ষাতেই প্রেমটা হয়নি। জানিয়েছিলেন, প্রথম-প্রথম বেশ চুপচাপই থাকতেন। এরপর বিরিয়ানিই বদলে দেয় গল্প। রুদ্রজিতের হাতের বিরিয়ানি খেয়েই নাকি প্রেমে পড়ে যান প্রমিতা।
আইনি বিয়ে হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন দুজনে। দুজনের অনুরাগীরা চাইছেন, এবারে হলুদ মেখে, মেহেন্দি পরে, বাঙালি মতে দুজনে যাক ছাদনাতলাতে।