০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ০৫:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন


আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম জং উন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৪-২০২৪
আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম জং উন ফাইল ফটো


দুবছর পেরিয়ে গেলেও কোনও রফাসূত্রে মেলেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। ছয় মাস করেও চলছে হামাস বনাম ইজরায়েল সংঘাত। দুই লড়াইয়েই হানাহানি, মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। এই আবহে ফের যুদ্ধের ডঙ্কা বাজিয়ে দিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন !

সেদেশের সেনাবাহিনীকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটাই সঠিক সময় । এখনই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সমর বিশ্লেষকদের মতে, নাম না করে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম।

কিমের প্রয়াত বাবার নামে তৈরি করা হয়েছে কিম জং টু ইউনিভার্সিটি অফ মিলিটারি অ্যান্ড পলিটিক্স। সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সূত্রে খবর, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপর্যায়ে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বুধবার সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানকার পড়ুয়া ও শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "বর্তমানে যা দেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে আমাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।"

শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শত্রুরা যদি যুদ্ধের পথ বেছে নেয় তাহলে আমরা কোনও দ্বিধা করব না। আমরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। শত্রুদের মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হবে।" বিশেষজ্ঞদের মতে, নাম না করলেও কিম শত্রু বলতে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকাকেই ইঙ্গিত করেছেন। এই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া তিনি বেজায় চটেছেন। এর আগে যতবার ওয়াশিংটন ও সিউল যৌথ মহড়া করেছে তার জবাব দিতে সাগরে মিসাইল ছুঁড়েছে।

এপি সূত্রে খবর, প্রতিপক্ষকে যোগ্য জবাব দিতে নিজেদের অস্ত্রাগার সম্প্রসারণ করছে উত্তর কোরিয়া। উন্নত যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা চলছে। গত জানুয়ারি মাসে একাধিকবার সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং। বলে রাখা ভালো, গত বছরের ডিসেম্বরে শত্রু দেশে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন কিম। তাঁর সাফ বার্তা ছিল, প্রতিপক্ষ যদি পরমাণু অস্ত্রের আস্ফালন করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আক্রমণ শানাতে পিছপা হবে না উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে রেকর্ড হারে অস্ত্রের পরীক্ষানিরিক্ষা চালাচ্ছেন কিম।

উল্লেখ্য, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা। কৌশলগত দিক থেকে ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য।