মুখে শান্তির কথা বললেও ইজরায়েলকে হাজার হাজার বোমা, যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে আমেরিকা। গাজায় হামলা প্রসঙ্গে ইজরায়েলকে বার বার ‘সংযত’ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মিশর সীমান্তবর্তী রাফা শহরেও কোণঠাসা হামাস। সেখানে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু। যা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। অথচ এর মধ্যেই সামনে এল নতুন খবর। একদিকে যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে ‘বন্ধু’ দেশকেই ২ হাজারের বেশি বোমা দিচ্ছে আমেরিকা। দিচ্ছে ২৫টি ফাইটার জেটও।
জানা গেছে, ১,৮০০ এমকে৮৪ ২০০০ পাউন্ডের বোমা এবং ৫০০ এমকে৮২ ৫০০ পাউন্ডের বোমা ইজরায়েলকে দিচ্ছে আমেরিকা। পাশাপাশি ২৫টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানও তাদের পাঠানো হচ্ছে। তবে এই অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তি এখনকার নয়। ২০০৮ সালে দুই দেশের মধ্যে এই নিয়ে চুক্তি হয়। তারই অংশ হিসেবে এবারের অস্ত্র সরবরাহ। এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অন্যদিকে ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের দূতাবাসও এই নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি (Israel) সেনা। আন্তর্জাতিক মহলে বারবার তোপের মুখে পড়লেও হামাসকে নিঃশেষ করার লক্ষ্যে অবিচল সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি চেয়ে এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে যতবার প্রস্তাব আনা হয়েছে, প্রতিবারই ভেটো দিয়েছিল আমেরিকা (USA)। কিন্তু গত সোমবারের প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকে ইজরায়েলের ‘বন্ধু’ দেশটি। এই অবস্থায় চর্চা চলছে ভোটপ্রক্রিয়ায় আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে। ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে না দাঁড়িয়ে যেভাবে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ওয়াশিংটন, তাতে জল্পনা বাড়ছে। ইজরায়েলকে বারবার ‘সংযত’ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই আবেদন কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। গাজার করুণ পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার উপরে চাপ বাড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোও। কিন্তু এর মধ্যেই অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের খবর প্রকাশ্যে আসতেই পরিষ্কার। ‘বন্ধু’র পাশেই রয়েছে হোয়াইট হাউস।