২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৩:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন


গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৩-২০২৪
গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল ছবি: সংগৃহীত


গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। ফলে সেখানে নিহতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। এরই মধ্যে এই উপত্যকায় প্রায় ৩২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে নূর শামস শরণার্থী শিবিরে অভিযানের সময় দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ওই শরণার্থী শিবিরে সর্বশেষ হামলায় নিহতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়িয়েছে।

অভিযানের সময় ইসরায়েলি বুলডোজার দিয়ে ক্যাম্পের অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে। পশ্চিমতীরের রামাল্লাহর আমা’রি শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখান বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি তরুণ আহত হয়েছেন।

এদিকে হেবরন শহরের কাছে তিন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরুব শরণার্থী শিবির থেকে এবং একজনকে বেইত উমার শহর থেকে।

গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে অবস্থিত বেশ কিছু আবাসিক ভবনেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৯২৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৪ হাজার ৯৬ জন।

সংঘাত বন্ধের বদলে গাজায় হামলা আরও তীব্র করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটরদের বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করার জন্য তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এ বিষয়ে এক সিনেটর বলেন, তিনি (নেতানিয়াহু) যা করতে যাচ্ছেন তা তিনি করতে চলেছেন। তিনি এটি শেষ করতে যাচ্ছেন।

তাদের এই আলাপ থেকে এটা স্পষ্ট যে ইসরায়েলি বাহিনী এখনই যুদ্ধ থামাচ্ছে না। গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী চতুর্থ দিনের মতো অভিযান শুরু করেছে। সেখানে বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ওই হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘ সময় আটক থাকা এবং নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।