ফের ইউক্রেনের বন্দরনগরী ওডেসায় ভয়ংকর আঘাত হানল রাশিয়া। রুশ বাহিনীর একের পর এক মিসাইল হামলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে সেখানকার একাধিক ঘরবাড়ি। বাদ যায়নি অ্যাম্বুলেন্সও। আক্রমণ করা হয়েছে পাইপলাইনেও। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহত বহু। মস্কোর এই আগ্রাসানকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
দুবছর পেরিয়ে গেলেও রক্তক্ষয়ী লড়াই থামছে না রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। হানাহানি, মৃত্যুমিছিল সব কিছুই জারি রয়েছে। হামলা পালটা হামলায় একে অপরকে কড়া জবাব দিচ্ছে দুদেশই। এএফপি সূত্রে খবর, শুক্রবার ওডেসায় বসত এলাকায় আছড়ে পড়ে একের পর এক রুশ মিসাইল। বোমাবর্ষণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বেশ কয়েকটি বহুতল। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয় পাইপলাইন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুধাপে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রথম আক্রমণের পর যখন উদ্ধারকারী দল সাধারণ মানুষদের উদ্ধারের কাজে নেমেছিলেন তখন ফের আঘতে হানে তারা। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন উদ্ধারকর্মীও। মস্কোর এই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭২ জন।
যেসময় রুশ বাহিনী হামলা চালায় সেসময়ের এক প্রত্যক্ষদর্শী মারিয়া স্লিজভস্কা নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “প্রথম মিসাইলটি আমার মায়ের বাড়িতে আছড়ে পড়েছিল। মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যায়। কিছু বোঝা ওঠার আগেই দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। সেখানে প্রচুর মানুষ বসবাস করতেন। এখন চারদিকে শুধু রক্তের স্রোত আর অ্যাম্বুলেন্স।”
এদিনের হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, “এটা জঘন্য অপরাধ। জোড়া হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যাঁরা সাধারণ মানুষদের উদ্ধারে সাহায্য করছিলেন তাঁদেরকেও নিশানা করা হয়েছে। ওডেসার এই হামলা রুশ জঙ্গিদের দুর্বলতার নিদর্শন। ওরা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াইয়ে নেমেছে তার থেকে এটাই বোঝায় যে ওরা নিজেদের দেশের মানুষদের নিরাপত্তাই সুনিশ্চিত করতে পারে না।” তবে এই হামলার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি রাশিয়া।