বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি জাতির জীবনে এমন একটি অধ্যায়, যার মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বোপন করেছিলেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবির আন্দোলনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয়েছিলেন। কারাগারে থেকেই বঙ্গবন্ধু দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁড়িয়ে পড়ে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োাজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ নিজের মাতৃভাষাকে ধরে রাখতে পারেনি। আমাদের মাতৃভাষাও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা কেড়ে নিতে দেইনি। সারাবিশ্বে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। যতদিন যাবে, এটি আরো বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বীরের জাতি। আমরা গর্বিত জাতি। যে জাতি মাতৃভাষা জন্য জীবন দিয়েছে, শহীদ হয়েছে এবং দাবি আদায় করেছে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, ইতিহাসের গভীরে যেতে হবে।
রাসিক মেয়র বলেন, বাংলা ভাষা যথেষ্ট শক্তিশালী, উন্নত ও শ্রুতিমধুর ভাষা। তাহলে সেই ভাষায় দামিদামি রহস্যের বই, সৃষ্টির বই, ধর্মের বই, জ্ঞান-বিজ্ঞানের ও ইতিহাসের বই ইত্যাদি ব্যাপকভাবে থাকে তাহলে তো অন্যকোথাও যেতে হয় না।
মেয়র আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনে রাজশাহীতে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এটি আমাদের গর্বের ও অহংকারের।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এঁর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ডা: তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, সদস্য আব্দুস সালাম, নগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য মোশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, হাবিবুর রহমান বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুল মান্নান, হাফিজুর রহমান বাবু, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান, নগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।