২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৪৬:৩১ পূর্বাহ্ন


হুজরাপুর স্কুলের আলোচিত শিক্ষক মোজাহার সাময়িক বরখাস্ত
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২৪
হুজরাপুর স্কুলের আলোচিত শিক্ষক মোজাহার সাময়িক বরখাস্ত হুজরাপুর স্কুলের আলোচিত শিক্ষক মোজাহার সাময়িক বরখাস্ত


রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী গোগ্রাম ইউনিয়নের (ইউপি) হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচিত (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামিকাল ২৯ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীরা জানান, আলোচিত এই শিক্ষকের বরখাস্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মিষ্টি বিতরণ করেছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার মোজাহার আলী তার বরখাস্তের বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশলে অভিভাবক সমাবেশের নামে বহিরাগতদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপতৎপরতা করেছে। এতে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ বিঘ্নিত ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এঘটনায় শিক্ষানুরাগী সচেতন মহল ও অভিভাবকদের  মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, বিগত ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলী বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসেব দেননি, কোনো সভায় উপস্থিত হননি। এই সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে ২০২৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় বিবিধ কারণে সর্বসম্মতিক্রমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারী প্রথমবার  প্রধান শিক্ষককে (ভারপ্রাপ্ত) কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়। কিন্ত্ত শোকজের কোনো জবাব তিনি দেননি। পরবর্তীতে গত ১২ ফেব্রুয়ারী আবারো তাকে আবারো শোকজ করা হয়। এবারো তিনি শোকজের কোনো জবাব দেননি। এদিকে ২৭ ফেব্রুযারী মঙ্গলবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি উপস্থিত না হলে কমিটির (সকল সদস্য) সর্বসম্মতিক্রমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তার কপি ডাকযোগে মোজাহার আলীর ঠিকানায়  প্রেরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বিধিমোতাবেক তাকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি, এমনকি প্রায় ৮ মাস যাবত তিনি বিদ্যালয়ের কোনো সভায় উপস্থিত হন না, হিসেব-নিকেশ দেন না।

তিনি আরো বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় (সকল সদস্য) সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ২৯ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি।