প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নবনিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিয়েছে ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশন।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমপ্লেক্সে আয়োজিত হয় ১১তম ব্যাচের স্বেচ্ছাসেবকদের নবীন বরন অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ সাদেকুল আরেফিন (মাতিন) স্যার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ জহুরুল আনিস স্যার। অ্যাল্যামনাই সদস্য হিসেবে ইউনিস্যাব-এর পথপ্রদর্শক সুমাইয়া ইসলাম উর্মি এবং অনিক চন্দ্র শীল উপস্থিত ছিলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন ব্যাচের অ্যাল্যামনাই সদস্যরা অনুষ্ঠানটিতে আমন্ত্রিত ছিলেন।
জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। এরপর সংগঠনটির প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে নবনিযুক্ত কার্যনির্বাহী সদস্যদের পরিচিতি পর্ব, আলোচনা সভা, কালচারাল প্রোগ্রাম, পুরস্কার বিতরণী ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এসময় ইউনিস্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত আয়োজিত বিভিন্ন প্রোগ্রামসমূহের ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানটির অন্যতম আকর্ষণ ছিল অনলাইনভিত্তিক প্রতিযোগিতা "টেলেন্ট কুয়েস্ট"। এখানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী নবীন স্বেচ্ছাসেবকদের গান, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ, উপস্থাপনা, ডিজিটাল কন্টেন্ট, ফটোগ্রাফিসহ বিভিন্ন সৃজনশীল প্রতিভার উন্মোচন ছিল প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানটিতে অতিথিরা তাদের জীবনচেতনা, আদর্শ ও অভিজ্ঞতার সংমিশ্রিত মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন, যা নবীনদের অনুপ্রাণিত করে।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. জহিরুল আনিস বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজের সাথে আমি সানন্দে থাকার চেষ্টা করব। এভাবেই ভাল কাজের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাক ইউনিস্যাব এবং প্রধান অতিথি মো. সাদিকুল আরেফিন (মাতিন) বলেন, ছোট ছোট দক্ষতা একজন মানুষের সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তার এই উক্তি নবীনদের সহপাঠ্যক্রমে যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করে। অ্যাল্যামনাই সদস্যদের মধ্যে ইউনিস্যাবের অন্যতম পথপ্রদর্শক অনীক চন্দ্র শীল এবং সুমাইয়া ইসলাম উর্মি ইউনিস্যাবের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান মতামত পেশ করেন। ভবিষ্যতে ইউনিস্যাবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বাত্নক পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশনের বর্তমান রিজিওনাল সেক্রেটারি আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ইউনিস্যাব শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর। ইউনিস্যাব স্বেচ্ছাসেবকদের কাজকে যথাযথ মূল্যায়ন করে থাকে। সর্বোপরি ইউনিস্যাবের সদস্যদের সহযোগিতায় ইউনিস্যাবকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, যুবসমাজের গঠনমূলক উন্নয়ন ও নেতৃত্বের বিকাশকে প্রতিপাদ্য রেখে ‘স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ’-এই স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ। প্রতিবছর ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের আয়োজন করে। এর পাশাপাশি নানা ব্যক্তিক দক্ষতার উন্নয়নমূলক সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।