২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:০৪:৪১ পূর্বাহ্ন


চিনের হাতে আধুনিক 'মেঘনাদ' শত্রু-রাডারে ধরা পড়বে না এই যুদ্ধবিমান,
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২৪
চিনের হাতে আধুনিক 'মেঘনাদ' শত্রু-রাডারে ধরা পড়বে না এই যুদ্ধবিমান, চিনের হাতে আধুনিক 'মেঘনাদ' শত্রু-রাডারে ধরা পড়বে না এই যুদ্ধবিমান


শত্রুদেশের রাডারে ধরা পড়বে না, এমন যুদ্ধবিমান প্রযুক্তি নিয়ে এল চিন। অর্থাৎ মেঘের আড়ালে যুদ্ধকৌশল রপ্ত করা এ যুগের 'মেঘনাদ' তৈরিতে সক্ষম হয়েছে লালফৌজ। চিনের অতি উন্নতমানের জেট বিমানগুলিতে এই যন্ত্রাংশ লাগানো হয়েছে। চিনের এই দাবির সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের চোখ কপালে উঠেছে।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চিন-ভারত সম্পর্ক তিক্ততায় পৌঁছেছে। তার উপর পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানকে বিপুল পরিমাণ ঋণ দিয়ে তাদের মাথা প্রায় কিনে রেখেছে বেজিং। এমনিতেই সামরিক শক্তিতে চিন ভারতের তুলনায় কয়েক যোজন এগিয়ে। ফলে এই নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগে আকাশে আড়াল থেকে যুদ্ধের সামর্থ্য অর্জন করল শি জিনপিংয়ের দেশ।

চিনের জে-১০সি, জে-১৬ জেট বিমানে এই প্রযুক্তি লাগানোর ফলে এগুলি কার্যত 'অদৃশ্য' হয়ে যাবে। শত্রুদেশের রাডার এদের নাগাল পাবে না। বিজ্ঞানীদের দাবি, তাঁরা এই দুঃসাধ্য সাধন করেছেন। প্লাজমা বেসড এই ডিভাইস যে কোনও যুদ্ধবিমানকে ম্যাজিকের মতো অদৃশ্য করে দিতে সক্ষম। বিমানের বাইরের অংশে এর প্রলেপ দিলে কোনও রাডার এর গতিবিধি ধরতে পারবে না।

শুধু ভারত কেন, আমেরিকার থেকেও কয়েক গুণ এগিয়ে চিনের এই কৌশল। এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে প্লাজমা স্টেল্থ ডিভাইস। বর্তমান যুদ্ধকৌশলে বিশেষ ধরনের রাডার-প্রতিরোধক ডিজাইনের ফলে জেট বিমান অনেক সময় রাডারের নাগাল এড়াতে পারে। কিন্তু, চিনের দাবিমতো এই প্রযুক্তিতে গোটা বিমানটাই শত্রুপক্ষের রাডার থেকে উধাও হয়ে যাবে। সুতরাং, রাডারে ধরা না পড়লে এই ধরনের জেট বিমানকে ঠেকানোও অসাধ্য হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, সামরিক শক্তিতে চিন এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ক্ষমতাধর দেশ। তারা এখন সামরিক শক্তিতে সুপার পাওয়ার লক্ষ্যে এগোতে চাইছে।