২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের দাবি নিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখলেন এমপি বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০২-২০২৪
রাজশাহীবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের দাবি নিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখলেন এমপি বাদশা ছবি: সংগৃহীত


রাজশাহীবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের নানা দাবি নিয়ে মহান জাতীয় সংসদে বক্তব্য রেখেছেন রাজশাহী-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাজশাহীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ উন্নয়নের নানাবিধ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।  

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্বরণ করেন।  

সংসদ অধিবেশনের বক্তব্যে মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সে উন্নয়নের ধারবাহিকতায় রাজশাহীরও উন্নয়ন হয়েছে। রাজশাহীবাসীর প্রাণের দাবি, শিক্ষানগরীতে একটা পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করা হোক। রাজশাহীতে শিল্পায়ন হয় নি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এখানকার উপযোগী শিল্পায়ন হবে বলে আশা রাখেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আব্দুলপুর থেকে ডুয়েল গেজ রেললাইন আমনুরা পর্যন্ত করা হোক। রাজশাহী বিভাগীয় শহর। এখানকার বিভাগীয় হাসপাতালে রোগী সংকুলান হয় না। এ অবস্থার উত্তরণে এখানে একটা জেলা হাসপাতাল স্থাপন করার দাবি জানান তিনি।

রেশম শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রেশম হচ্ছে জিআই পণ্য। এই রেশম পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি আসলে আমরা দিতাম। আজকে রেশম শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। এই রেশম শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র আছে বলে আমার কাছে মনে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই রেশম শিল্পের আবারও সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করি।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে শিশু হাসপাতাল করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের পরেও এখনও অচল হয়ে পড়ে আছে। অবিলম্বে এই হাসপাতাল চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এমপি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, আমি একজন শিক্ষাকর্মী। সেই জায়গা থেকে বলতে চাই, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী সবার কাছে একটা গ্রহণযোগ্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিলেন। যে শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিলো, বেসরকারি ও সরকারির মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না। বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য বেতন স্কেল, শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা হবে। শিক্ষাকে জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের বেতন, ভাতা, নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা দূরীকরণের বিষয়সহ শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।