ফের ভারতগামী তেলের ট্যাঙ্কারে মিসাইল ছুঁড়ল হাউথিরা। শুক্রবার এই হামলার বিষয়ে জানিয়েছে মার্কিন বিদেশদপ্তর। গত মাস তিনেক ধরে বিভিন্ন দেশের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে লোহিত সাগরে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হাউথিরা। আক্রমণ করছে পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথে।
রয়টার্স সূত্রে খবর, পানামার নিশানধারী একটি ট্যাঙ্কার অপরিশোধিত তেল নিয়ে ভারতে আসছিল। তখনই ইয়েমেন থেকে লোহিত সাগরে সেটিতে আঘাত হানা হয়। মার্কিন বিদেশদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে এম/টি পোলাক্স নামের ট্যাঙ্কারটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। ইয়েমেনের কাছে মোখা বন্দর থেকে মিসাইলটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই হামলায় জাহাজটির অল্প ক্ষতি হয়েছে। নাবিকরা সকলে সুরক্ষিত রয়েছে।
এনিয়ে মার্কিন বিদেশদপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “একের পর এক আন্তর্জাতিক জাহাজ নিশানা করছে হাউথিরা। অসংখ্য যৌথ এবং আন্তর্জাতিক বিবৃতি দিয়ে আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে হাউথিদের। কিন্তু ওরা হামলা জারি রেখেছে। এদিনের ঘটনা তারই উদাহরণ।” ইরানের মদতপুষ্ট এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শানাচ্ছে আমেরিকা ও ব্রিটেনও। যেকোনও সময় বাজতে পারে যুদ্ধের দামামা। কয়েকদিন আগে লোহিত সাগরের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল চিন।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে বাণিজ্যতরী লক্ষ্য করে লোহিত সাগরে অন্তত ২৭টি হামলা চালিয়েছে হাউথিরা। জাহাজগুলোর ক্ষতির পাশাপাশি বিপন্ন হচ্ছে নিরীহ নাবিকদের জীবন। যে কারণে বহু বাণিজ্যতরী সুয়েজ খাল এড়িয়ে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। মাস খানেক আগে ভারতীয় বাণিজ্যতরীতেও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হাউথিরা। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিরাদের তরফে জানানো হয়েছে গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। যতদিন না গাজায় ইজরায়েলি ফৌজ হামলা বন্ধ করছে ততদিন এই আক্রমণ চলবে।