১৩ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৬:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৩-২০২২
রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার


রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী নগরের শিরোইল বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বাঘা থানা পুলিশ। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বাড়ি ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে। মেরাজের বাবার নাম রাকিব সরকার। 

বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২১ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাস যোগে মেরাজ রাজশাহী ছাড়ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বাঘা থানা পুলিশ নগরের শিরোইল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটকের পর বাঘা থানার দুইটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

ওসি আরও বলেন, মেরাজ ছাড়াও জুবান মালিথা নামে সাবেক এক কাউন্সিলরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জুবান ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে ঘটনার দিন শাওন নামের একজন গ্রেফতার করা হয়েছিল।

 উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকেরা মঞ্চের সামনে ‘আক্কাস ভাই, আক্কাস ভাই’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় আক্কাসকে কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন তার (আক্কাস) লোকজন নিয়ে পেছনে যেতে বলেন। এতে আক্কাস ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল হোসেনকে তুই সম্বোধন করে কথা বলেন। এ সময় আক্কাসের মেয়ে এসএম কামালকে লক্ষ করে মোবাইল ছুড়ে মারেন।

 এ সময় কামাল হোসেনও উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে আক্কাসের লোকজন মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন। তখন অনুষ্ঠানের উপস্থিত লোকজন তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

পরে এ ঘটনায় বাঘা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

রাজশাহীর সময় / জি আর