২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৭:২৪ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কানাডিয়ান হাই কমিশনারের মসুর ডালের মাঠ পরিদর্শন
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০২-২০২৪
রাজশাহীতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কানাডিয়ান হাই কমিশনারের মসুর ডালের মাঠ পরিদর্শন রাজশাহীতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কানাডিয়ান হাই কমিশনারের মসুর ডালের মাঠ পরিদর্শন


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, শ্যামপুর রাজশাহীতে ডাল সহ বিভিন্ন ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন। 

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় ডাল সহ বিভিন্ন ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন তারা।

মাঠ পরিদর্শনের সময় তাঁর সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. দেবাশীষ সরকার ও কানাডিয়ান হাই কমিশনার Lilly Nicholls এবং কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ । 

প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার  বলেন, সরকার কানাডার সরকারের সাথে সমুর ডাল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। বর্তমানে প্রায় ৪০০টি লাইন নিয়ে ইশ্বরদি এবং রাজশাহীতে কাজ করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার ফলাফল যদি ভাল হয় তবে বাংলাদেশ মসুর ডাল উৎপাদনে একধাপ এগিয়ে যাবে।

কানাডিয়ান হাই কমিশনার Lilly Nicholls পরীক্ষা প্লট দেখে তিনি খুব খুশি এবং কানাডা সরকার বাংলাদেশের সাথেডাল নিয়ে কাজ করতে পেরেও বেশ আনন্দিত বলে  মন্তব্য করেন। 

বাংলাদেশে ডালকে গরিবের আমিষ বলা হয়। আমাদের দেশে জমির পরিমাণ ও উৎপাদনের দিক দিয়ে মসুর ডাল ২য় স্থানে অবস্থান করলেও ব্যবহার ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে ১ম স্থান লাভ করেছে। মসুরের আধুনিক জাত কৃষক পর্যায়ে ব্যাপক আবাদ হলে দেশে ডালের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। মসুর একদিকে একক ফসল এবং অন্যদিকে সাথী ও আন্তঃফসল হিসেবেও আমাদের কৃষকের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি আরো বলেন, মসুর চাষে জমির ঊর্বরতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। মসুরের আধুনিক জাত  বারি মসুর-১ , বারি মসুর-২, বারি মসুর-৩, বারি মসুর-৪ , এর মধ্যে বারি মসুর-৫ ও বারি মসুর-৬, এ জাতগুলি মরিচা ও স্টেমফাইলিয়াম ব্লাইট রোগ সহনশীল। বারি মসুর-৭ , বারি মসুর-৮ , বিশেষ করে বারি মসুর-৯ এ জাতটি বিশেষভাবে স্বল্পকালীন এবং উচ্চ মাত্রায় জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ। এটি খেলে একদিকে যেমন আমিষের চাহিদা পূরণ হবে অন্যদিকে আমাদের শরীরে জিংক ও আয়রন এর চাহিদাও পূরণ হবে।  তাই অধিক পরিমানে ডাল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে। আর এজন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাকে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্য, জনপ্রতিনিধি, কৃষক-কৃষণী, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ সহ প্রায় ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।