২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:০৬:৪৩ অপরাহ্ন


ঢাকঢোল পিটিয়ে সন্ন্যাসী ও জামাই মেলা অনুষ্ঠিত
আল আমিন মন্ডল (বিপ্লব) বগুড়া:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০২-২০২৪
ঢাকঢোল পিটিয়ে সন্ন্যাসী ও জামাই মেলা অনুষ্ঠিত ঢাকঢোল পিটিয়ে সন্ন্যাসী ও জামাই মেলা অনুষ্ঠিত


ঢাকঢোল পিটিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পূর্ব বগুড়ার তথা গাবতলী ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ সন্ন্যাসী ও জামাই মেলা বুধবার (১৪ই ফেব্রুয়ারী-২৪) শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার হবে বউ মেলা।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ মেলায় এসে ক্রয়-বিক্রয় করেছে। উপভোগ করেছে নানা ধরনের বিনোদন ও খেলা। মেলায় বিক্রি হয়েছে কয়েক হাজার মন মাছ ও মিষ্টি। মাছের দাম কিছুটা চড়া হলেও বিক্রি হয়েছে বড় বড় চিতল, ভেউস, বোয়াল, রুই ও কাতলা’সহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী-বিদেশী মাছ। হিন্দু-মুসলমান-পুরুষ-নারী বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের ঢল নেমে ছিল ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায়। তবে মেলায় বাঘাইড় মাছ না পাওয়া গেলেও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় অসংখ্য মাছ ছিল।

এরমধ্যে মেলায় ভেউস মাছ কেজি প্রতি বিক্রি করা হয় ১হাজার ৫শ থেকে ২হাজার টাকা, পাখিমাছ প্রতি কেজী বিক্রি হয়েছে ১৫শত থেকে ২হাজার টাকা, বোয়াল মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৭শ থেকে ১হাজার ৫শ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ৮শ থেকে ১হাজার টাকা, কাতলা মাছ কেজি প্রতি বিক্রি করা হয় ৮শ থেকে ৯শ টাকা, ব্লাক-কাপ প্রতিকেজী ৭শ থেকে ৯শত টাকা, আরকাটা প্রতিকেজী ২২শত থেকে ২৫শত টাকা, ব্রি-কেট প্রতিকেজী ৬শত থেকে ৮শত টাকা, গ্লাস-কাপ প্রতিকেজী ৫শত থেকে ৮শত টাকা।

এছাড়া বিভিন্ন রকমের মাছ নানা মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। শেষ পর্য়ন্ত ১থেকে ২কোটি টাকার মাছ বিক্রি আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষে ৪শত বছর পুরানো এ মেলায় ছিল প্রশাসনের কঠোর নজরদারী। মেলায় প্রসিদ্ধ হলো বড় বড় মাছ, হরেক রকম মিষ্টি, কাঠ বা ষ্ট্রীল র্ফানিচার, বড়ই (কুল) ও কৃষি সামগ্রী বিভিন্ন আসবাবপত্র এবং খাদ্য দ্রব্য হাট-বাজার ন্যায় কেনা-বেচা করা হয়।

এছাড়া বিনোদন মূলক ছিল সার্কাস, মোটর সাইকেল খেলা, নৌকা খেলা ও নাগোরদোলা এবং শিশুদের জন্য দোলনা। উল্লেখ্য, গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের অর্ন্তগত গোলাবাড়ী বন্দর সংলগ্ন প্রায় ৪শত বছরপূর্বে থেকে স্থানীয় সন্ন্যাসী পূর্জা উপলক্ষে গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে সম্পূর্ন ব্যক্তি মালিকানা জমিতে একদিন জন্য মেলাটি বসে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ মেলায় এসে ক্রয়-বিক্রয় করে। মেলা উপলক্ষে আশপাশের গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে আত্তীয়-স্বজন এসে সমবেত হয়।