দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ারের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের প্রাথমিক (প্রাইমারি) নির্বাচনে জয় পেলেন তিনি। অন্য দিকে, সে ভাবে প্রচারে না নেমেও ওই একই আসনে ডেমোক্র্যাটদের হয়ে জয় পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। সেই আসনে প্রাথমিক নির্বাচনের জয়ের কারণে ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন পেতে এবং হোয়াইট হাউস দখলের জন্য বাইডেনের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের আসনে জেতার পর তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তথা তাঁরই প্রাক্তন অধস্তন নিকি হ্যালি প্রতিযোগিতার বাইরে থাকলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ১৪ শতাংশ ভোট গণনা করার পর দেখা যায়, হ্যালির থেকে ট্রাম্প অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রহর যত এগিয়ে আসছে, ততই দিকে দিকে জমে উঠছে তরজা। নিকি না ট্রাম্প, রিপাবলিকান দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কে হবেন, সেই লড়াইও রীতিমতো জমে উঠেছে। সম্প্রতি আইওয়া প্রদেশের রিপাবলিকান পার্টির প্রাথমিক নির্বাচন বা ‘ককাস’-এ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছেন ট্রাম্প।
উল্লেখযোগ্য যে, অনেক সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে ‘জনপ্রিয়তম’ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে উঠে আসতে চলেছেন ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে হয়তো বিতর্ক, একাধিক মামলা এবং অভিযোগকে সঙ্গী করেই চলতি বছরের শেষে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনের মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান, এই দু’টি দলের অভ্যন্তরে নির্বাচন হয়। ভোটাভুটির মাধ্যমে দেখা হয়, কোন প্রার্থী দলের ভোটারদের বেশি পছন্দের। শেষ পর্যন্ত সেই প্রার্থীকেই দল প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করে।