বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছিল বহু বছর আগেই। তার পর স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে গাড়ির মধ্যেই দিন কাটাতেন আমেরিকার বাসিন্দা অ্যাডাম মন্টোগোমারি। ২০১৯ সাল থেকেই নিখোঁজ অ্যাডামের কন্যা। কয়েক বছর পর বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে জানা যায় পাঁচ বছরের কন্যা অ্যাডামের গাড়ি নোংরা করে ফেলেছিল বলে তাকে মারধর করে মেরে ফেলেন অ্যাডাম। সম্প্রতি আদালতে অ্যা়ডাম স্বীকারও করেন যে, কন্যার মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও তার দেহ ব্যাগে ভরে নিয়মিত রেস্তরাঁ যেতেন তিনি। এমনকি রেস্তরাঁর ফ্রিজের ভিতরেও সেই ব্যাগ ভরে রাখতেন অ্যাডাম।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আমেরিকার এক রেস্তরাঁয় রান্না করা এবং বাসন মাজার কাজ করতেন অ্যাডাম। বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ায় গাড়ির ভিতরেই তিনি স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে থাকতেন। গাড়ি নোংরা করে দেওয়ার কারণে পাঁচ বছরের কন্যাকে মারধর শুরু করেন অ্যাডাম। এমনটাই দাবি করেন অ্যাডামের স্ত্রী কায়লা। গাড়ির পিছনের সিটে বসে অ্যাডাম এবং কায়লার কন্যা অনবরত কেঁদে চলেছিল।
শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মারা যায় একরত্তি। অ্যাডাম তখন তাঁদের মেয়ের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে উধাও করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। মৃত্যুর কয়েক মাস পর্যন্ত কন্যার দেহ ব্যাগে ভরে ঘুরে বেড়াতেন অ্যাডাম। নিজের কর্মস্থলে গিয়ে রেস্তরাঁর ফ্রিজেও ভরে রাখতেন সেই ব্যাগ। পরে কন্যার দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার পর ব্যাগে ভরে রেস্তরাঁয় নিয়ে যেতেন তিনি।
অ্যাডাম জানান, কন্যার দেহের টুকরোগুলি তিনি তাঁর এক বন্ধুর গা়ড়ির ভিতর এবং শাশুড়ির বাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ভিতর লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে কোনও অজানা জায়গায় দেহের টুকরোগুলি ফেলে দিয়েছিলেন অ্যাডাম। আদালতের তরফে অ্যাডামকে ত্রিশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।